কুনো ব্যাঙ | Asian Common Toad
কুনো ব্যাঙ (Kuno Bang) – অনেকের কাছে কোনা ব্যাঙ (Kona Bang) নামে পরিচিত। কুনো ব্যাঙ-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নে তুলে ধরা হল:
পরিবার (family) : কুনো ব্যাঙ বুফোনিডি (Bufonidae) পরিবারভূক্ত।
ইংরেজি নাম : কুনো ব্যাঙ-এর ইংরেজি নাম এশিয়ান কমন টোড (Asian Common Toad) বা সাউথইস্ট এশিয়ান টোড (SouthEast Asian Common Toad) বা স্পেক্টাকল্ড টোড।
বৈজ্ঞানিক নাম : কুনো ব্যাঙ-এর বৈজ্ঞানিক নাম দুটাফ্রিনাস ম্যালানোসটিকটাস (Duttaphrynus melanocysticus)।
বিবরণ : কুনো ব্যাঙ-এর দৈর্ঘ্য ৫.৭ থেকে ১২.০ সেন্টিমিটার (সে.মি.) হয়ে থাকে। মাথা চওড়া এবং তাতে হাড়ের উত্তোলিত কালো রেখা সুস্পষ্টভাবে দেখা যায়। এ ব্যাঙের চোখের পিছনে শিম আকৃতির এবং বড় ২টি প্যারোটিড গ্রন্থি রয়েছে। দেহের উপরিপৃষ্ঠ বাদামি বা হলদে বর্ণের হয়ে থাকে এবং নিচের অংশ ফ্যাকাশে ও দানাদার। চামড়ায় অসংখ্য আঁচিল রয়েছে, যার অগ্রভাগ কালো বর্ণের হয়ে থাকে। সামনের পায়ের আঙুলগুলো মুক্ত এবং পিছনের পায়ের আঙুলগুলোর অর্ধেক হাঁসের পায়ের পাতার মত যুক্ত থাকে। এ ব্যাঙের আঙুলের অগ্রভাগ গোলাকার।
স্বভাব : কুনো ব্যাঙ সাধারণত নিশাচর এবং সান্ধ্যচারী হয়ে থাকে; স্বাভাবিকভাবে একাকী থাকে।
খাবার : কুনো ব্যাঙ সাধারণত কীটপতঙ্গ, ছোট ছোট অমেরুদণ্ডী প্রাণী, ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে থাকে।
আবাসন : কুনো ব্যাঙ সাধারণত বন-জঙ্গলে এবং মানুষের আবাসিক এলাকা ও আশপাশসহ সব ধরনের আবাসভূমিতে বাস করে থাকে।
বংশবৃদ্ধি : স্ত্রী কুনো ব্যাঙ সাধারণত বদ্ধ পানিতে স্বচ্ছ এবং জেলিযুক্ত আবরণীর মধ্যে সারা বছর ডিম পাড়ে। আগাছা এবং জলজ উদ্ভিদের চারিদিকে প্রতি গুচ্ছে প্রায় ৪০,০০০টি ডিম থাকে। কুনো ব্যাঙের ডিম ২৪ থেকে ২৮ ঘণ্টার মধ্যে ফোটে থাকে। বন্য পরিবেশে কুনো ব্যাঙ প্রায় ৪ বছর বেঁচে থাকে।
বিস্তার ও অবস্থা : এশিয়া মহাদেশের কতিপয় দেশসহ বাংলাদেশেব্যাপী ব্যাপক এলাকা জুড়ে এবং বহু সংখ্যায় কুনো ব্যাঙ দেখা যায়। [সংকলিত]
তথ্য সূত্র : বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী, ২০১৫, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা, পৃষ্ঠা ৬৪।
আলোকচিত্র সূত্র : কুনো ব্যাঙ