ণ-ত্ব বিধান ও ণ-ত্ব বিধানের ৭টি নিয়ম।

যে বিধান বা নিয়মে ‘ণ’- এর সঠিক ব্যবহার জানা যায় তাকে ণ-ত্ব বিধান বলে। নিম্নে ণ-ত্ব বিধানের ৭টি নিয়ম উল্লেখ করা হলো:
১. ঋ, র, ষ এর পরে মূর্ধন্য (ণ) ব্যবহৃত হয়। যেমন: ঋণ, ক্ষণ, রণ, ইত্যাদি।
২. ঋ, র, ষ এর পরে স্বরবর্ণ, ক ও প-বর্গ এবং য, ব, হ, ং থাকলে তার পরে মূর্ধন্য (ণ) ব্যবহৃত হয়। যেমন: কৃপাণ, গ্রহণ, হরিণ, রেণু, লক্ষণ, ইত্যাদি।
৩. ‘ট’ বর্গীয় ধ্বনির পূর্বে সব সময় মূর্ধন্য (ণ) ব্যবহৃত হয়। যেমন: লুণ্ঠন, কাণ্ড, ঘণ্টা, ইত্যাদি।
৪. অগ্র এবং গ্রামের পরে নী ধাতু ব্যবহৃত হলে, সেই নী ধাতু মূর্ধন্য (ণ) হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন: অগ্রণী, গ্রামীণ, ইত্যাদি।
৫. পর, পরা, উত্তর, চান্দ্র, নার, রাম – এ ৬টি শব্দের পর ‘আয়ন’ শব্দের দন্ত্য – ন, মূর্ধন্য – ণ হবে। যেমন: পরায়ণ, উত্তরায়ণ, নারায়ণ, রামায়ণ, চান্দ্রায়ণ, ইত্যাদি।
৬. প্র, পরা, অপর, পূর্ব এর পরবর্তী অহ্ন শব্দের দন্ত্য – ন, মূর্ধন্য – ণ হয়। যেমন: পূর্বাহ্ণ, অপরাহ্ণ, তবে মধ্যাহ্ন, সায়াহ্ন লিখতে ‘ন’ হবে।
৭. পড়ো, পরি, পরা, নীর, এর পর অন্তশব্দে মূর্ধন্য (ণ) হবে। যেমন: পরিণতি = পরি + ণতি, প্রমাণ = প্র + মা + ণ, ইত্যাদি। [ইশরাত জাহান মিম]


ণ-ত্ব বিধান কাকে বলে ও ণ-ত্ব বিধানের ৫টি নিয়ম।


Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *