প্রাচীনকালের লেনদেনের দলিল
কাগজ আবিষ্কার ও ব্যবহারের পূর্ব পর্যন্ত মানুষ লেনদেনের দলিল হিসেবে গাছের পাতা, পশুর চামড়া, পোড়ামাটির ফলক, ধাতব পাত প্রভৃতিতে লিখে রাখতো। সুপ্রাচীনকালে লেখার জন্য বর্তমান কালের মত উন্নত লিখন পদ্ধতির বর্ণমালাও ছিল না। তখনকার লিখন পদ্ধতি ছিল অনেকটা চিত্র অংকন নির্ভর। উদাহরণস্বরূপ পোড়ামাটির ফলকের উপরে লিখিত একটি লেনদেনের দলিল সম্পর্কে নিম্নে তুলে ধরা হল।
খ্রিস্টপূর্ব ৩২০০ অব্দের এরূপ পোড়ামাটির একটি দলিলে ৫৪টি গরুর লেনদেনের হিসাব লিখিত পাওয়া যায়। এ দলিলটির উপরের দিকের একটি সারিতে ৫টি ছিদ্র রয়েছে। প্রতিটি ছিদ্রের মান ১০ করে ৫টি ছিদ্র দিয়ে ৫০ মান নির্দেশ করে। এর নিচের সারিতে চাপসহ ৪টি ছিদ্র রয়েছে। প্রতিটি চাপসহ ছিদ্রের মান ১ করে ৪টি দিয়ে ৪ মান নির্দেশ করে। এখানে, সর্বমোট নির্দেশক মান হল ৫৪। তারই নিচের অংশে গরুর মাথা অঙ্কিত রয়েছে। অঙ্কিত গরুর মাথা দিয়ে বিক্রিত পণ্যের ধরন সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়েছে। সূতরাং পোড়ামাটির এ ফলকটিতে ৫৪টি গরু লেনদেনের দলিল লিখিত রয়েছে। [মো: শাহীন আলম]
সহায়িকা: বাকী, আবদুল, ভূবনকোষ, ২০১৩, সুজনেষু প্রকাশনী, ঢাকা।