রোমান সভ্যতা: ভূমধ্যসাগরের তীরে গড়ে উঠা প্রাচীন সভ্যতা
পৃথিবীর সমৃদ্ধ প্রাচীন সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল রোমান সভ্যতা। খ্রিস্টপূর্ব ৬ শতকের প্রথমভাগে ইতালীয় উপদ্বীপে এ সভ্যতা গোড়াপত্তন করে। রোম শহরকে কেন্দ্র করে এবং ভূমধ্যসাগরের তীর ধরে এ সভ্যতা বিকশিত হয়। পর্যায়ক্রমে এ সভ্যতাটি প্রাচীনকালের বৃহত্তম একটি সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় রোমান সভ্যতা রাজতন্ত্র থেকে একটি সম্ভ্রান্ত প্রজাতন্ত্রে রূপ নেয়। আরো কিছুকাল পরে পর্যায়ক্রমে এ সভ্যতা একটি একনায়কতন্ত্রীয় সাম্রাজ্যে পরিবর্তিত হয়। যুদ্ধ বিজয় এবং আত্তীকরণের মাধ্যমে এটি দক্ষিণ ইউরোপ, পশ্চিম ইউরোপ, এশিয়া মাইনর, উত্তর আফ্রিকা, উত্তর ইউরোপ এবং পূর্ব ইউরোপের একাংশকে এর শাসনাধীনে নিয়ে আসে। রোম ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী সাম্রাজ্য এবং প্রাচীন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী সাম্রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি ছিল। প্রায়ই প্রাচীন গ্রীসের সাথে একত্রে এ সভ্যতাকে উচ্চমানের প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনের মধ্যে দলবদ্ধ করা হয়। রোমান ও গ্রীক সভ্যতার সংস্কৃতি ও সমাজ মিলে একত্রে গ্রেকো-রোমান বিশ্ব হিসেবে পরিচিত। পরবর্তীতে নর্ডিক জাতি কর্তৃক রোমান সভ্যতা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। নিচে এ রোমান সভ্যতা সম্পর্কে সংক্ষেপে তুলে ধরা হল।
১. রোমান সম্রাট ছিলেন- জুলিয়াস সিজার।
২. এলাম,দেখলাম,জয় করলাম কথাটি বলেছেন- জুলিয়াস সিজার।
৩. নদীমাতৃক সভ্যতা নয়- রোমান।
৪. খ্রিস্টধর্মকে রোমের রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দেন- কনস্টানটাইন।
৫. রোমানদের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ছিল- আইনের ক্ষেত্রে।
৬. রোমের অর্থনীতি নির্ভরশীল ছিল- দাস শ্রমের ওপর।
৭. রোমান সভ্যতার গোড়াপত্তন হয়- ৫১০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
৭. রোমান সভ্যতার পতন ঘটে- ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে।
৮. রোমান আইন সংকলন করা হয়- ১২ টি ব্রোঞ্জের পাতে।
৯. রোম নগরীর নামকরণ করা হয়- ল্যাটিন রাজা রোমিউলাসের নামানুসারে।
১০. রোমে প্রথম আবিষ্কৃত হয়- কংক্রিট।
১১. বছরের বার মাসের নাম এখনও রয়ে গেছে- ল্যাটিন ভাষাতে। [সংকলিত]
