সংখ্যাতাত্ত্বিক বিপ্লব | Quantitative Revolution
সংখ্যাতাত্ত্বিক বিপ্লব [Quantitative Revolution] বলতে ভূগােল [Geography] বিদ্যায় মৌলিক দৃষ্টিকোণ বা বিষয়বস্তুর কোন পরিবর্তন না করে কেবল ভৌগােলিক তথ্য বিশ্লেষণে সংখ্যাতাত্ত্বিক বা পরিসংখ্যানিক নিয়ম-কানুন গ্রহণ করে পঠনপাঠন করাকে বুঝায়। অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ভূগােল বিদ্যা চর্চায় বা পঠনপাঠনে কৌশলগত পরিবর্তনের নতুন ধারা সূচিত করা হয়। এর মূল প্রেক্ষিত হল ভূগােল অন্যান্য শাস্ত্র বা বিদ্যার তুলনায় পিছিয়ে যেতে থাকে। যার ফলে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ভূগােল অধ্যয়ন বন্ধ করে দেয়। এ পরিস্থিতির জন্য তৎকালীন ভূগালবিদগণ [Geographer] ভূগােলে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির (scientific approach) অভাবকে চিহ্নিত করেন। তখন ভূগোলবিদগণ বর্ণনামূলক ও ভাববাদী ভূগােলের পরিবর্তে ভূগােলের বিষয়াবলি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গ্রহণ করতে শুরু করেন। এর ফলে ভূগোল বিদ্যা চর্চায় পরিসংখ্যানিক কৌশল (statistical techniques) ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়। ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে ভূগােল বিদ্যা চর্চার কৌশলগত এ পরিবর্তনের ধারাকে অনেকে সংখ্যাতাত্ত্বিক বিপ্লব হিসেবে চিহ্নিত করেন। তবে এ সময়ে ভূগােলের মৌলিক দৃষ্টিকোণ বা বিষয়বস্তুর কোন রকম পরিবর্তন করা হয়নি। কেবল ভৌগােলিক তথ্য ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করার জন্য সংখ্যাতাত্ত্বিক বা পরিসংখ্যানিক নিয়ম-কানুন গ্রহণ করা হয়। এরূপ বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ফলস্বরূপ পরবর্তীতে ভূগােল বিদ্যার আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। [সংকলিত]