অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড | Essential Fatty Acid

স্নেহ পদার্থের প্রধান অংশ ফ্যাটি এসিড। উদ্ভিজ্জ ও প্রাণিজ এ দুই উৎস থেকে ফ্যাট পাওয়া যায়। উদ্ভিজ উৎস থেকে প্রাপ্ত ফ্যাটকে তেল এবং প্রাণিজ উৎস থেকে প্রাপ্ত ফ্যাটকে চর্বি বলা হয়। যে সকল ফ্যাটি এসিড দেহে প্রস্তুত হতে পারে না অথচ এর অভাবে দেহের কার্যাবলি বিঘ্নিত হয় এবং অবশ্যই খাদ্যের সাথে গ্রহণ করতে হয়, এ জাতীয় ফ্যাটি এসিডকে অপরিহার্য ফ্যাটি এসিড বা অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড (essential fatty acid) বলে।

অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিডের শ্রেণিবিভাগ: অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড ৩ টি। এগুলো হলো:
১. লিনোলেইক এসিড (linoleic acid): ডিমের কুসুম, বাদাম ও সয়াবিন তেলে লিনোলেইক এসিড পাওয়া যায়।
২. লিনোলিনিক এসিড (linolenic acid): মাছের তেল, যকৃৎ, ইত্যাদিতে লিনোলিনিক এসিড পাওয়া যায়।
৩. অ্যারাকিডোনিক এসিড (arachidonic acid): যকৃতের তেল ও প্রাণিদেহের ফসফো লিপিড অনুতে অ্যারাকিডোনিক এসিড পাওয়া যায়।

অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিডের অভাবের ফলাফল: অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিডের অভাবে মানব দেহের উপরে যে সব প্রভাব ফেলে, সে সব নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. শিশুদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং অ্যাকজিমা জাতীয় চর্মরোগ হয়।
২. অন্যান্য ফ্যাটি এসিডের মতো অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিডগুলো ফসফো লিপিড অনুতে থাকে। এই ফসফো লিপিড সংশ্লেষণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড আবশ্যক।
৩. যকৃতে স্নেহ পদার্থ থেকে ফসফো লিপিড উৎপাদন হ্রাস পায়। যেহেতু ফসফো লিপিডরূপেই যকৃতে আগত ফ্যাটি এসিড অন্যত্র চালিত হয়। অতএব এ অবস্থায় যকৃতে অতিরিক্ত স্নেহ পদার্থ জমে যকৃৎ চর্বি ভারাক্রান্ত হয়ে যেতে পারে।
৪. অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিডসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করলে রক্তের কোলেস্টেরল কমে যায়।
সকল অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিডের মধ্যে লিনোলেইক এসিড সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। [ইশরাত জাহান মিম]


সহায়িকা: সুলতানা, প্রফেসর রাফিকা, এবং আরা, গাজী হোসনে, গার্হস্থ বিজ্ঞান, কাজল ব্রাদার্স লি., ঢাকা, পৃ: ২০৯, ২১০।


ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবার কি কি


Follow Us in Our Youtube Channel: GEONATCUL


Leave a Reply