ওয়েজ আর্নার্স স্কিম কী
সাধারণত ওয়েজ আর্নার্স স্কিম হল এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিক তাদের উপার্জিত অর্থ প্রেরণ করে। ওয়েজ আর্নার্স স্কিম বাংলাদেশ সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি বিশেষ ধরনের ব্যবস্থা। ১৯৭৪ সালে ওয়েজ আর্নার্স স্কিম প্রবর্তিত হয়। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের অর্জিত আয় সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রেরণে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে এ স্কিমটি চালু করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘Wage Earners Scheme is a mechanism through which Bangladeshis living abroad through their representatives get the opportunity to import some specified products in the light of the policies of this country.’ (অর্থাৎ ওয়েজ আর্নার্স স্কীম হল এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এদেশের নীতির আলোকে কতিপয় নির্ধারিত পণ্য আমদানির সুযোগ পায়।’)
অধ্যাপক এম. এম. আকাশ এর মতে, ‘Wage Earners Scheme through which Bangladeshi citizens residing abroad enjoy the facility of remittance of earned currency and import of goods.’ (অর্থাৎ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিকরা অর্জিত মুদ্রা প্রেরণ ও দ্রব্য আমদানির সুবিধা ভোগ করে তাই ওয়েজ আর্নার্স স্কীম।’)
সুতরাং ওয়েজ আর্নার্স স্কিম হল এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিগণ তাদের অর্জিত অর্থ ও বিনিময় দ্রব্য প্রেরণের সুযোগ পায়। বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ থাকার কারণে আমদানিকারকদের অনুকূলে বৈদেশিক মুদ্রার ছাড় হ্রাস পায়, যার ফলে স্কিমটি কার্যকারিতা অর্জন করে। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের প্রেরিত অর্থ বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। মানবসম্পদ রপ্তানি থেকে অর্জিত আয় হিসেবে পরিগণিত প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ চলতি হিসাবে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী উৎসে পরিণত হয়। [শারমিন জাহান সায়মা]
ওয়েজ আর্নার্স স্কিম কাকে বলে?
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL
খুবই সুন্দর ও সাবলীলভাবে উপস্থাপিত করার জন্য ম্যামকে সাধুবাদ জানাই।💖💖