কারক ও বিভক্তি: উদাহরণসহ প্রকারভেদ

কারক: বাংলা শব্দ ‘কারক’ এর অর্থ হল– যা ক্রিয়া সম্পাদন করে। সাধারণত কারক বলতে বাক্যের অন্তর্গত ক্রিয়াপদের সাথে নামপদের সম্পর্ককে বুঝায়।

কারণের প্রকারভেদ: কারক প্রধানত ছয় প্রকার। যেমন-
১। কর্তৃ কারক;
২। কর্ম কারক;
৩। করণ কারক;
৪। সম্প্রদান কারক;
৫। অপাদান কারক; ও
৬। অধিকরণ কারক। নিম্নে উল্লেখিত একটি বাক্যের সাহায্যে এ ছয় প্রকারের কারকের উদাহরণ দেখানো হলো।

মহসিন সাহেব প্রতিদিন আলমারি থেকে নিজ হাতে গরিবদের টাকা দিতেন ৷
এ বাক্যটিতে ব্যবহৃত- ”মহসিন সাহেব, প্রতিদিন, আলমারি থেকে, নিজ হাতে, গরিবদের, টাকা” হল নামপদ। “দিতেন” হল ক্রিয়াপদ

এখানে,
১। মহসিন সাহেব – ক্রিয়ার সাথে কর্তৃ সম্পর্ক;
২। টাকা – ক্রিয়ার সাথে কর্ম সম্পর্ক;
৩। নিজ হাতে – ক্রিয়ার সাথে করণ সম্পর্ক;
৪। গরিবদের – ক্রিয়ার সাথে সম্প্রদান সম্পর্ক;
৫। আলমারি থেকে – ক্রিয়ার সাথে অপাদান সম্পর্ক; ও
৬। প্রতিদিন – ক্রিয়ার সাথে অধিকরণ সম্পর্ক।

বিভক্তি: বাক্যের অন্তর্গত একটি শব্দের সাথে অপর শব্দের অন্বয় (সম্পর্কের ধারা ক্রম) সাধনের জন্য শব্দের সাথে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয়, তাদেরকে বিভক্তি বলে। যেমন-
কক্ষে বসে শিক্ষক ছাত্রদেরকে অংক শিখাচ্ছেন।
বাক্যটিতে কক্ষে (কক্ষ + বিভক্তি), শিক্ষক (মা + বিভক্তি), ছাত্রদেরকে (ছাত্রদের + কে বিভক্তি), অংক (অংক + বিভক্তি) ইত্যাদি পদে বিভিন্ন বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। বিভক্তিগুলো ক্রিয়াপদ “শিখাচ্ছেন” সাথে নামপদের (কক্ষে, বসে, শিক্ষক, ছাত্রদেরকে, অংক) সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
বাক্যে বিভক্তি চিহ্ন স্পষ্ট না হলে সেখানে শূন্য বিভক্তি আছে মনে করা হয়।

বাংলা শব্দ-বিভক্তি: ০ শূন্য বিভক্তি (অথবা অ-বিভক্তি), এ, (য়), তে (এ), কে, রে,) র, (এরা ) এ কয়টিই খাঁটি বাংলা শব্দ বিভক্তি। এছাড়া বিভক্তি স্থানীয় কয়েকটি অব্যয় শব্দও কারক-সম্পর্কে নির্ণয়ের জন্য বাংলায় প্রচলিত রয়েছে। যেমন-দ্বারা, দিয়ে, হতে, থেকে ইত্যাদি ।
বাংলা শব্দ-বিভক্তির প্রকারভেদ: বাংলা শব্দ-বিভক্তি প্রধানত সাত প্রকার। যেমন – প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী এবং সপ্তমী। [সংকলিত]


কারক কাকে বলে ও কত প্রকার?
বিভক্তি কাকে বলে ও কত প্রকার?


Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL


Leave a Reply