কোষ বিভাজন : এককোষী ও বহুকোষী জীবের পার্থক্য

এককোষী জীব থেকে শুরু করে বহুকোষী জীব পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই নানা ধরনের কোষ বিভাজন (cell division) দেখা যায়। এগুলোর কোনোটি দেহ বৃদ্ধি ঘটায়, কোনোটি জননকোষ সৃষ্টি করে, আবার কোনোটি দ্বিবিভাজন পদ্ধতিতে সংখ্যা বৃদ্ধি করে। মানবদেহে প্রায় ৩৭ লক্ষ কোষ রয়েছে। বিজ্ঞানী রবার্ট হুক ১৬৬৫ সালে কোষ আবিষ্কার করেন। ১৮৮২ সালে ওয়াল্টার ফ্লেমিং কোষ বিভাজন আবিষ্কার করেন। নিম্নে কোষ বিভাজন নিয়ে আলোচনা করা হলো।
এককোষী (unicellular): প্রতিটি জীবদেহ কোষ দিয়ে তৈরি। একটিমাত্র কোষ দিয়ে প্রতিটি জীবের জীবন শুরু হয়। বিভাজনের মাধ্যমে কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি জীবদেহের একটি স্বাভাবিক এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কোনো কোনো জীবের দেহ একটিমাত্র কোষ দিয়ে গঠিত, এদের বলা হয় এককোষী (unicellular) জীব। যেমন: ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা, প্লাজমোডিয়া, ইত্যাদি।
বহুকোষী (multicellular): এককোষী জীব বিভাজনের মাধ্যমেই একটি থেকে অসংখ্য এককোষী জীব উৎপন্ন করে। আবার অনেক জীব একাধিক কোষ দিয়ে গঠিত। এদের বলা হয় বহুকোষী (multicellular) জীব। যেমন: মানুষ, বট গাছ, তিমি মাছ, ইত্যাদি জীব কোটি কোটি কোষ দিয়ে গঠিত। বিশালদেহী একটি বট গাছের সূচনাও ঘটে একটি মাত্র কোষ (জাইগোট বা নিষিক্ত ডিম্বাণু) থেকে।
এককোষী নিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একসময় কোটি কোটি কোষের একটি পরিণত মানুষের সৃষ্টি হয়। আবার কোষ বিভাজনের মাধ্যমেই পুং ও স্ত্রী গ্যামেট সৃষ্টি হয়ে নতুন প্রজন্মের জন্ম হয়। জীবের বৃদ্ধি ও প্রজননের উদ্দেশ্যে কোষ বিভাজনের (cell division) মাধ্যমে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে থাকে। [ইশরাত জাহান মিম]
সহায়িকা: জীববিজ্ঞান (নবম – দশম), জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ, পৃষ্ঠা – ৫২।
কোষ বিভাজন কে আবিষ্কার করেন ?
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL