ক্যালসিয়াম: কাজ, উৎস ও অভাবজনিত অবস্থা
ক্যালসিয়ামের কাজ, উৎস ও অভাবজনিত অবস্থা:
ক্যালসিয়াম (calcium) শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘calx’ থেকে এসেছে। ‘calx’ শব্দের অর্থ ‘চক’ (chalk)। ক্যালসিয়াম দেখতে সাদা চক পাউডারের মতো। খনিজ পদার্থের মধ্যে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। নিম্নে ক্যালসিয়ামের কাজ, উৎস ও অভাবজনিত অবস্থা উপস্থাপন করা হলো।
কাজ (function): ক্যালসিয়াম মানব দেহে যে সব কাজ করে, সে সব হলো:
১। ক্যালসিয়ামের প্রধান কাজ মানব দেহের হাড় ও দাত গঠন করা।
২। প্লাজমার ক্যালসিয়াম রক্ততঞ্চন বা জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
৩। স্নায়ু ও পেশির উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করে, হৃৎপিন্ডের সংকোচন ও প্রসারণে সাহায্য করে।
৪। স্তন থেকে দুগ্ধ ক্ষরণের জন্য এ খনিজ উপাদান আবশ্যক।
উৎস (source): দুধ ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস। এছাড়া দুধের তৈরি খাবার দই, পনির, মাখন, মিষ্টি, পায়েশ ইত্যাদি। কাঁটাসহ ছোট মাছে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়া ডাল, গাজর, সবুজ শাক, কলমি শাক, মেথি শাক, সরিষা শাক, পুঁই শাক, লাল শাক, ডাঁটাশাক, ইত্যাদি থেকেও এ খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। সবজির মধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, কাঁকরোল, বরবটি, ইত্যাদি এ খনিজ উপাদানের অন্যান্য উৎস। এছাড়া ডিমের কুসুম, আখের গুড়, ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম রয়েছে।
অভাবজনিত অবস্থা (deficiencies): ক্যালসিয়ামের অভাবে মানব দেহে যে সব অবস্থা হতে পারে, সে সব হলো:
১। ক্যালসিয়ামের অভাব হলে মানব দেহে টিটানি বা খিঁচুনি রোগ হয়।
২। ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের বিপাক ও শোষণ ব্যাহত হয়। ফলে শিশুদের রিকেট ও বয়স্কদের অস্টিওম্যালেসিয়া রোগ হয়। [ইশরাত জাহান মিম]
সহায়িকা: সুলতানা, প্রফেসর রাফিকা; আরা, গাজী হোসনে; (২০২০); গার্হস্থ বিজ্ঞান (একাদশ-দ্বাদশ), ঢাকা: কাজল ব্রাদার্স লিমিটেড, পৃষ্ঠা ২১৯, ২২০।
Follow Us in Our Youtube Channel: GEONATCUL