খাদ্যের শ্রেণিবিভাগ
যে কোনো একটি খাদ্য শরীরের সকল পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে না। ভিন্ন ভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদানের সমন্বয়ে শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। অধিকাংশ খাদ্যই শরীরের এক বা একাধিক কাজ করতে পারে।
খাদ্যের শ্রেণিবিভাগ: প্রকৃতি, কাজ, তাপ ও শক্তি উৎপাদন অনুযায়ী খাদ্যের শ্রেণিবিভাগ করা যায়। নিম্নে খাদ্যের শ্রেণিবিভাগ তুলে ধরা হয়েছে।
ক) রাসায়নিক প্রকৃতি অনুযায়ী খাদ্য: রাসায়নিক প্রকৃতি অনুযায়ী সকল খাদ্য উপাদানকে ছয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন-
১. কার্বোহাইড্রেট বা শ্বেতসারজাতীয় খাদ্য (carbohydrates);
২. প্রোটিন বা আমিষজাতীয় খাদ্য (proteins);
৩. স্নেহজাতীয় বা চর্বিজাতীয় খাদ্য (fat);
৪. ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ (vitamins);
৫. ধাতব লবণ (salt); এবং
৬. পানি (mineral water)।
খ) কাজ অনুযায়ী খাদ্য: কোন কোন খাদ্য উপাদান এক বা একাধিক কাজ করতে পারে। কাজ অনুযায়ী খাদ্যকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
১। শক্তি উৎপাদনকারী খাদ্য: কার্বোহাইড্রেট ও স্নেহ জাতীয় পদার্থ;
২। দেহ গঠন ও ক্ষয় পূরণকারী খাদ্য: প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাদ্য; এবং
৩। রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বৃদ্ধিকারক খাদ্য: ভিটামিন ও ধাতব লবণ।
গ) তাপ ও শক্তি উৎপাদনের ভিত্তিতে খাদ্য: তাপ ও শক্তি উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে খাদ্যকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো:
১। ম্যাক্রোনিউট্রিয়েট;
২। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট; এবং
৩। পানি।
১। ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট: খাদ্যের মধ্যে অবস্থিত যে পুষ্টি উপাদানগুলো সরাসরি শরীরে জারিত হয়ে তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে, তাদেরকে ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট বলে। যেমন: কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট।
২। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট: খাদ্যের মধ্যে অবস্থিত যে পুষ্টি উপাদানগুলো সরাসরি তাপ ও শক্তি উৎপাদন না করে তাপ ও শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে তাকে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বলে। যেমন: ভিটামিন ও খনিজ লবণ।
৩। পানি: পানি সাধারণত খাদ্য পরিপাক ও শোষণে সহায়তা করে। পানি শরীরের রক্তের চাপ রক্ষা করে। দূষিত পদার্থ থেকে বের করে দিয়ে শরীর সুস্থ-সবল রাখে। [ইশরাত জাহান মিম]
সহায়িকা: সুলতানা, প্রফেসর রাফিকা এবং আরা, গাজী হোসনে, গার্হস্থ বিজ্ঞান, কাজল ব্রাদার্স লি., ঢাকা, পৃ: ২০২, ২০৩।
খাদ্যের প্রকারভেদ
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL