গবেষণায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি

যে কোনো বিষয়ের জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন হয় গবেষণা। সমস্যা সমাধানের জন্য একজন গবেষক তাঁর গবেষণায় অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ের সাথে সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। নিম্নে গবেষণার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতির প্রক্রিয়াগত ধাপসমূহ তুলে ধরা হয়েছে।

১. তথ্য সংগ্রহকরণ (gathering the facts): সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপই হলো তথ্য সংগ্রহ করা। উপযুক্ত এবং পর্যাপ্ত তথ্য ছাড়া কখনোই সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়।

২. বিকল্পসমূহ চিহ্নিতকরণ (identifying the alternatives): প্রয়োজনীয় তথ্য প্রাপ্তির পরবর্তীতে গবেষক কোনো একটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান জন্য বিকল্প খুঁজতে থাকেন। যে কোনো সমস্যা সমধানের জন্য একাধিক বিকল্প থাকে। তাই বিকল্পগুলো খুঁজে বের করা জরুরি।

৩. বিকল্প মূল্যায়ন (evaluating alternatives): বিকল্পসমূহ চিহ্নিত করার পর তা থেকে সবেচেয়ে উপযুক্তটি বেছে বের করতে হয়। সময়, খরচ, উপযুক্ততা, গ্রহণযোগ্যতা, সরলতা, প্রভৃতি বিষয় মাথায় রেখেই সর্বোত্তম বিকল্প বাছাই করা হয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে একাধিক বিকল্প থেকে সর্বাধিক উপযুক্ত ও প্রযোজ্য বিকল্পটিকে বেছে নেয়া হয়ে থাকে।

৪. সিদ্ধান্ত গ্রহণ (deciding): চূড়ান্তভাবে একজন গবেষক নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর সকল পর্যালোচনা সাপেক্ষে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সর্বাধিক উপযুক্ত বিষয়টি সর্বদা সিদ্ধান্ত হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

পরিশেষে বলা যায়, সমস্যা চিহ্নিতকণের পর সে সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, ও বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। মূলত ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা বিবেচনাপূর্বক সবচেয়ে উপযুক্ত কৌশলটি বেছে নেয়ার সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি সম্পর্কিত। [শারমিন জাহান সায়মা]


সহায়িকা: আলাউদ্দিন, প্রফেসর ড. মোঃ; উদ্দীন, প্রফেসর ড. মোঃ সেরাজ; আতিকুজ্জামান, এম. এম.; প্রধান, মোঃ সাইফুল্লাহ; (জানুয়ারি, ২০১৯); ব্যবসায় গবেষণা Business Research; গ্রন্থ কুটি: ঢাকা; পৃষ্ঠা- ৩৭।


গবেষণায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতির ধাপ


Follow Us in Our Youtube Channel: GEONATCUL


Leave a Reply