গ্রোথ হরমোন | Growth Hormone
আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ থেকে ভিন্ন ভিন্ন হরমোন নিঃসৃত হয়ে থাকে, তার মধ্যে গ্রোথ হরমোন (growth hormone) আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। যা আমাদের শরীরের সঠিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। গ্রোথ হরমোন (GH) পূর্ববর্তী পিটুইটারি (পুটিইটারি বাদামি রং এর গ্রন্থি, যা মস্তিষ্কের গোড়ায় অবস্থিত) থেকে নিঃসৃত হয়। এ হরমোন 191 অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে গঠিত। গ্রোথ হরমোন রাসায়নিক প্রকৃতির প্রোটিন হরমোন। গ্রোথ হরমোন অ্যামিনো অ্যাসিডের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

গ্রোথ হরমোনেরকাজ:
1. শরীরের স্বাভাবিক গঠন বজায় রাখে।
2. মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য অঙ্গগুলির সুস্থ টিস্যু তৈরি এবং মেরামত করে।
3. বৃদ্ধির ব্যাধিতে ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
4. হাড়ের ঘনত্ব, পেশীর ভর বৃদ্ধি করে ।
5. চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট বিপাকে (শরীরের চর্বি হ্রাস) সহায়তা করে।
গ্রোথ হরমোনের ঘাটতির লক্ষণ:
1. ক্লান্তি এবং শক্তি কমে যাওয়া।
2. হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মানসিক সুস্থতা এবং হতাশা এবং উদ্বেগের সৃষ্টি হওয়া।
3. জীবনের মান কমে যাওয়া, স্বাভাবিকভাবে অসুস্থতার অনুভুতি হওয়া।
4. পেশী ভর হ্রাস পাওয়া।
5. শরীরের চর্বি বৃদ্ধি পাওয়া।
6. হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া।
7. কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বর্ধিত কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং হার্টের কার্যকারিতা হ্রাসসহ নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে।
গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধির উপায় :
খাদ্যতালিকায় প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখা প্রয়োজন। বিশেষ করে শিশু, কিশোর-কিশোরীদের জন্য গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১ – ২৫ বছর পর্যন্ত মানব শরীরের নানা ধরনের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। এর মাঝে যদি খাদ্য তালিকায় গ্রোথ হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, এমন খাবার রাখা যায়, তাহলে সহজেই সুস্থ থাকা সম্ভব হবে, সাথে সাথে শরীরের সঠিক বৃদ্ধি সাধিত হওয়াও সম্ভব। খাবারের তালিকায় যা যা রাখা যায়, যেমন: ডিম, দুধ, কালো তিল, কাজুবাদাম, অশ্বগন্ধা, সয়াবিন, বাদাম, সবুজ শাক-সবজি, গাজর, কুমড়ো বীজ ইত্যাদি এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম। নিয়মিত ব্যায়াম করা আমাদের সকলের জন্য কার্যকরী একটি উপায়। শারীরিক ব্যায়ামের অভ্যাস আমাদের দেহের গ্রোথ হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং দেহের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বেশ সহায়তা করে। [ইশরাত জাহান মিম]
সহায়িকা: ড. সেলিম রেজা, Anatoly and physiology (বিএসসি অ্যান্ড ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি), (২০২৪), Mediaplex Book Publisher, প্রকাশক: ফেরদৌস সাদিদ রেজা নওয়েল, কাটাবন, ঢাকা, বাংলাদেশ, পৃষ্ঠা ৩৪৪ – ৩৪৫।
Follow Us in Our YouTube channel: GEONATCUL