চাহিদা পূর্বানুমানে ন্যূনতম বর্গপদ্ধতি ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা
কালীক সারির তথ্যসমূহের মধ্যে সরল রৈখিক প্রবণতা পরিলক্ষিত হলে ন্যূনতম বা ক্ষুদ্রতম বর্গপদ্ধতির (least square method) সাহায্যে চাহিদা পূর্বানুমানের কালীক প্রবণতা রেখা নির্ণয় করা যায়। চাহিদা পূর্বানুমানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বর্গপদ্ধতি ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো:
ন্যূনতম বর্গপদ্ধতি ব্যবহারের সুবিধা:
ক) ন্যূনতম বর্গপদ্ধতির দ্বারা ভবিষ্যৎ সাধারণ ধারার মান নির্ণয় করা যায়।
খ) এই পদ্ধতির একটি গাণিতিক ভিত্তি রয়েছে বলে পদ্ধতিটি বহুল প্রচলিত।
গ) এই পদ্ধতিতে প্রতিটি বছরের জন্য সাধারণ ধারার মান পাওয়া যায় বলে এটি চলমান গড় পদ্ধতি হতে অধিক সুবিধাজনক।
ঘ) এই পদ্ধতিতে সরলরৈখিক সাধারণ ধারা নির্ণয় করলে প্রতিটি বছরের জন্য বার্ষিক পরিবর্তনের হার পরিমাপ করা যায়।
ন্যূনতম বর্গপদ্ধতি ব্যবহারের অসুবিধা:
ক) অন্য পদ্ধতিগুলোর তুলনায় ন্যূনতম বর্গপদ্ধতির গণনার কাজ অপেক্ষাকৃত জটিল।
খ) এই পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তথ্য সংযোজন করা হলে আবার নতুন করে গণনা কাজ সম্পন্ন করতে হয়।
গ) এই পদ্ধতির একটি বড় অসুবিধা হলো কি ধরনের রেখা যথোপযুক্ত হবে, তা ঠিক করা সহজ নয়।
সুতরাং চাহিদা পূর্বানুমানে ন্যূনতম বর্গপদ্ধতি ব্যবহারের যেমনি সুবিধা ভোগ করে, অপরদিকে আবার এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। [শারমিন জাহান সায়মা]
সহায়িকা: আলী, মোঃ সাহেব, জুলাই-২০১৯, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, পৃষ্ঠা ১০৫।
চাহিদা পূর্বানুমানে ন্যূনতম বর্গপদ্ধতির ব্যবহার
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL