জারণ ও বিজারণ | Oxidation and Reduction

জারণ কি?
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পদার্থ থেকে ইলেকট্রনের অপসারণ ঘটে তাকে জারণ (oxidation) বলা হয়। যেমন – কার্বন (c) এবং অক্সিজেন (o2) সংযোগে কার্বন ডাই-অক্সাইড (co2) গঠিত হয়। এ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কার্বনের জারণ ঘটে। এতে কার্বনের যোজনী সংখ্যা শূন্য থেকে ৪-এ বৃদ্ধি পায়।
C + O2 = CO2
জারণ বিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট মৌলের যোজনী বৃদ্ধি পায়। এক পদার্থ থেকে অপর পদার্থে ইলেকট্রনের স্থানান্তরের দ্বারাই যোজনীর বৃদ্ধি বা হ্রাস ঘটে।
ইলেকট্রনীয় মতবাদ অনুসারে, ‘যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রনের অপসারণ ঘটে এবং এর ফলে সংশ্লিষ্ট পরমাণু বা আয়নের ধনাত্মক চার্জ বৃদ্ধি বা ঋণাত্বক চার্জ হ্রাস পায়, তাকে জারণ বিক্রিয়া বলা হয়।’
বিজারণ কি?
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পদার্থে ইলেকট্রন সংযুক্ত হয় তাকে বিজারণ (reduction)বলা হয়। যেমন – আয়রণ অক্সাইড বা ফেরাস অক্সাইড (FeO) এবং কার্বনের (c) সংমিশ্রণকে উত্তপ্ত করলে ফেরাস অক্সাইড (FeO) বিজারিত করে আয়রণে পরিণত হয়। এ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় আয়রণের (Fe) বিজারণ ঘটে। এতে আয়রণের যোজনী সংখ্যা দুই থেকে কমে শূন্য হয়।
FeO + C = Fe + CO
বিজারণ বিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট মৌলের যোজনী হ্রাস পায়। এক পদার্থ থেকে অপর পদার্থে ইলেকট্রনের স্থানান্তরের দ্বারাই যোজনীর বৃদ্ধি বা হ্রাস ঘটে।
ইলেকট্রনীয় মতবাদ অনুসারে, ‘যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু বা আয়ন এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে এবং এর ফলে সংশ্লিষ্ট পরমাণু বা আয়নের ধনাত্মক চার্জ হ্রাস বা ঋণাত্বক চার্জ বৃদ্ধি পায়, তাকে জারণ বিক্রিয়া বলা হয়।’ [ইশরাত জাহান মিম]
সহায়িকা:
১। রসায়ন (নবম-দশম), এনসিটিবি, বাংলাদেশ, পৃষ্ঠা – ১৫১।
২। রসায়ন (একাদশ – দ্বাদশ), এনসিটিবি, বাংলাদেশ, পৃষ্ঠা ৩১৩ – ৩১৪।
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া কি?
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL