ঝুঁকির পরিমাপের আদর্শ পদ্ধতি ও ঝুঁকির প্রেক্ষিত
ঝুঁকি পরিমাপের সবচেয়ে ভালো বা উৎকৃষ্ট পদ্ধতি হলো পরিমিত ব্যবধান। যেসব কারণে ঝুঁকি পরিমাপের ক্ষেত্রে পরিমিত ব্যবধানকে উৎকৃষ্ট পদ্ধতি বলা হয়, সেসব হলো:
১. টাকার উপযোগ যদি দ্বিঘাত ফাংশন দ্বারা প্রকাশ করা হয়, তাহলে প্রত্যাশিত উপযোগ হবে গড় ও পরিমিত ব্যবধানের ফাংশন।
২. পরিমিত ব্যবধান সহজে নিরূপণ ও বিশ্লেষণ করা যায়।
৩. চলক যদি পরিমিত বিন্যাসের হয়, তাহলে সম্ভাবনা বিন্যাসের সকল তথ্য গড় এবং পরিমিত ব্যবধান প্রতিফলিত হয়।
ঝুকির প্রেক্ষিত: ঝুঁকির অনেক ধরনের প্রেক্ষিত রয়েছে। যেকোনো প্রকল্পের ঝুঁকির কমপক্ষে তিনটি প্রেক্ষিত লক্ষ্য করা যায়। প্রকল্পের ঝুঁকির বিভিন্ন প্রেক্ষিত সম্পর্কে সংক্ষেপে নিম্নে বর্ণনা করা হলো:
১. কর্পোরেট ঝুঁকি: প্রকল্পের ঝুঁকি কারণে ব্যবসায়ের বা ফার্মের যে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়, তাকে কর্পোরেট ঝুঁকি বলে।
২. পদ্ধতিগত ঝুঁকি: প্রকল্পের কারণে বহুমুখী বিনিয়োগ পত্রকোষের যে সার্বিক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়, তাকে বাজার বা পদ্ধতিগত ঝুঁকি বলে।
৩. একক ঝুঁকি: একক ঝুঁকি ধারণায় মনে করা হয় প্রকল্প বিচ্ছিন্নভাবে পরিচালিত হবে। এক্ষেত্রে প্রকল্পের কারণে যে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়, তাকে একক ঝুঁকি বলে। এক্ষেত্রে ঝুঁকি গণনায় পোর্টফোলিও প্রভাব বিবেচনা করা হয় না। [শারমিন জাহান সায়মা]
সহায়িকা: আলী, মোঃ সাহেব, জুলাই-২০১৯, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, পৃষ্ঠা ১৩৭।
ঝুঁকির পরিমাপের আদর্শ পদ্ধতি
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL