তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে ব্যবহৃত পরিসংখ্যান পদ্ধতি
গবেষণা কাজ পরিচালনার জন্য সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গবেষণায় তথ্য বিশ্লেষণের জন্য কতকগুলো পরিসংখ্যান পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। যেমন-
১. গড় (mean)
২. মধ্যমা (medium)
৩. প্রচুরক (mode)
৪. পরিসর (range)
৫. গড় বিচ্যুতি (mean deviation)
৬. পরিমিত বিচ্যুতি (standard deviation)
৭. ভেদাঙ্ক (variance)
৮. সহসংস্রব (correlation)
৯. নির্ভরণ (regression)
১০. কাই-বর্গ পরীক্ষা (x2 test)
১১. Z-Test
১২. T-Test ইত্যাদি। নিম্নে এ সকল পরিসংখ্যান পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা প্রদান করা হলো:
১. গড় (mean): কোনো তথ্য সারিতে যতগুলো সংখ্যা থাকে তাদের সমষ্টিকে তত দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায়, তাকে গড় (mean) বলে। বিখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ croxton & cowden বলেন, ‘an average is a single value within the range of the data which is used to represent all the values in the series.’ (অর্থাৎ কোনো তথ্য সারির গড় হচ্ছে এমন একটি সংখ্যা, যা ঐ তথ্যসারির পরিসরের মধ্যবর্তী মানগুলোকে উপস্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়।)
২. মধ্যমা (median): কোনো তথ্যসারির সংখ্যাগুলোকে মানের উর্ধ্বক্রমে (ascending order) বা নিম্নক্রমে (descending order) সাজালে যে সংখ্যাটি ঠিক মাঝখানে থাকে তাকে মধ্যমা বলে। মধ্যমা নিবেশনকে দু’টি সমান অংশে বিভক্ত করে।
৩. প্রচুরক (mode): কোনো তথ্যসারিতে যে সংখ্যাটি সবচেয়ে বেশি বার থাকে তাকে প্রচুরক (mode) বলে। যেমন- ৩, ৪, ২, ৩, ৩, ৫, ২, ৮, ৩, ৬, ৩, ৯, ৩ সংখ্যাগুলোর মধ্যে ৩ সবচেয়ে বেশিবার ঘটেছে। সুতরাং সংখ্যাগুলোর প্রচুরক ৩।
৪. পরিসর (range): পরিসর হলো কোন তথ্যসারির সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মানের ব্যবধান। এটি কোন চলকের মানসমূহের সর্বাধিক ব্যবধান পরিমাপ করে। পরিসর হলো তথ্যসারির সর্বাধিক ব্যবধান পরিমাপ করার জন্য বিস্তারের একটি পরম পরিমাপ।
৫. গড় বিচ্যুতি/ব্যবধান (mean deviation): কোনো নিবেশনের গড় বা মধ্যমা থেকে সংখ্যাগুলোর ব্যবধানের পরম মানের সমষ্টিকে এদের পদসংখ্যা (মোট গণসংখ্যা) দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তাকে গড় ব্যবধান বলা হয়। গড় ব্যবধান নিবেশনের গড় বা মধ্যমা থেকে সংখ্যাগুলোর ব্যবধানের পরম মান দ্বারা নির্ণয় করা হয়।
৬. পরিমিত বিচ্যুতি/ব্যবধান (standard deviation): বিস্তার পরিমাপের একটি অন্যতম পরিমাপ হচ্ছে পরিমিত ব্যবধান। গড় থেকে সংখ্যাগুলোর ব্যবধানের বর্গ নিয়ে এটি গণনা করা হয়। কোনো নিবেশনের গড় থেকে সংখ্যাগুলোর ব্যবধানের বর্গের সমষ্টিকে পদসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তার ধনাত্মক বর্গমূলক পরিমিত ব্যবধান (standard deviation) বলে।
৭. ভেদাঙ্ক (variance): কোন নিবেশনের গড় থেকে সংখ্যাগুলোর ব্যবধানের বর্গের সমষ্টিকে পদসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তাকে ভেদাঙ্ক বলে।
এছাড়াও গবেষণা ক্ষেত্রে উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য উপরের পদ্ধতিগুলো ছাড়াও সহসংস্রব (correlation), নির্ভরণ (regression), Z-Test, T-Test, কাই-বর্গ পরীক্ষা (x2 test) ইত্যাদি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। [শারমিন জাহান সায়মা]
সহায়িকা: আলাউদ্দিন, প্রফেসর ড. মোঃ; উদ্দীন, প্রফেসর ড. মোঃ সেরাজ; আতিকুজ্জামান, এম. এম.; প্রধান, মোঃ সাইফুল্লাহ; (জানুয়ারি, ২০১৯); ব্যবসায় গবেষণা Business Research; গ্রন্থ কুটি: ঢাকা; পৃষ্ঠা ২০৬-২০৯।
তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে পরিসংখ্যান পদ্ধতি
Follow Us in Our Youtube Channel: GEONATCUL