দ্বীপ এর সংজ্ঞা ও শ্রেণীবিভাগ

দ্বীপ [Island]: চারদিকে বিশাল পানিরাশি বেষ্টিত ভূমি বা স্থলভাগকে দ্বীপ বলা হয়। সমুদ্র, হ্রদ, নদী ও যে কোন জলাভূমির মধ্যে দ্বীপ দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত দ্বীপ বেষ্টিত পানি সুপেয় কিংবা লবণাক্ত হতে পারে। কোন কোন দ্বীপ অত্যন্ত বৃহৎ এবং বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হয়। যেমন- গ্রিনল্যান্ড, যার আয়তন ২১,৩৯,৩৪০ বর্গ কিলোমিটার এবং মাদাগাস্কার, যার আয়তন ৫,৯০.৫২০ বর্গকিলোমিটার। দুই বা ততোধিক একত্রে সন্নিবেশিত দ্বীপগুলোকে দ্বীপপুঞ্জ (archipelago) বলে। যেমন- নিউজিল্যান্ড ও ক্যারেবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ। নিউজিল্যান্ডের মত বৃহৎ দ্বীপপুঞ্জে মহাদেশীয় ভূ-ভাগের মত সমভূমি, মালভূমি, পর্বত প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকারের ভূমিরূপ দেখতে পাওয়া যায়।
দ্বীপ এর শ্রেণীবিভাগ [Island’s Classification]: একটি দ্বীপ থেকে অপর দ্বীপের আকৃতি, আয়তন, উচ্চতা, গঠন প্রভৃতির যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। উৎপত্তিগত পার্থক্য এ দ্বীপগুলোর বিভিন্নতার মূল কারণ। বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসারে দ্বীপগুলো শ্রেণীবিভাগ করা যায়। অবস্থান হিসেবে কিংবা উৎপত্তি অনুসারে দ্বীপগুলোকে প্রধানত ২টি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। যেমন –
১. মহাদেশীয় দ্বীপ [Continental Island] ও
২. মহাসাগরীয় দ্বীপ [Oceanic Island]।

১. মহাদেশীয় দ্বীপ [Continental Island]: মহাদেশের অংশবিশেষ থেকে যে সব দ্বীপ গঠিত হয়, সে সব দ্বীপকে মহাদেশীয় দ্বীপ বলে। এরূপ দ্বীপ অগভীর ও অপ্রশস্ত প্রণালী দিয়ে মহাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন। মহাদেশীয় দ্বীপ সাধারণত মহাদেশের মূল ভূভাগের কাছে থাকে; যেমন – শ্রীলঙ্কা এরূপ একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। মহাদেশের যে দিকে এরূপ দ্বীপের সৃষ্টি হয়, সে দিকে মূল ভূ-ভাগের এবং ঐ দ্বীপের প্রকৃতি, উদ্ভিদ, প্রাণী প্রভৃতির বিশেষ কোন পার্থক্য থাকে না। মহাদেশের স্থান বিশেষের অবনমন ও ক্ষয়ীভবনের ফলে মহাদেশীয় দ্বীপের সৃষ্টি হয়। মহাদেশীয় দ্বীপের আরেকটি ধরন হলো – উপদ্বীপ (peninsula)।
উপদ্বীপ [Peninsula] বলতে সাধারণত সমুদ্রের দিকে প্রক্ষিপ্ত মহাদেশীয় স্থলভাগের অংশবিশেষকে বুঝায়। যেমন – ইটালী, ইউরোপ মহাদেশের স্থলভাগের অংশবিশেষ, যা ভূ-মধ্যসাগরের দিকে প্রক্ষিপ্ত অবস্থায় রয়েছে এবং ভারত, এশিয়া মহাদেশের স্থলভাগের অংশবিশেষ, ভারত মহাসাগরের দিকে প্রক্ষিপ্ত অবস্থায় রয়েছে ।

২. মহাসাগরীয় দ্বীপ [Oceanic Island]: যে সব দ্বীপ মহাদেশ থেকে বহুদূরে গভীর মহাসাগরের মধ্যস্থলে অবস্থিত এবং মহাদেশের সাথে কোন সংযোগ নেই, সে সব দ্বীপকে মহাসাগরঅয় দ্বীপ বলে। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত, ভূমিকম্প, হিমবাহ, বায়ু প্রবাহ, নদী সঞ্চয় এবং প্রবাল কীট দিয়ে মহাসাগরীয় দ্বীপগুলো গঠিত হয়। [সংকলিত]
দ্বীপের সংজ্ঞা দাও?
দ্বীপ দুই প্রকার কি কি?
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL