প্রথাগত জ্ঞাতিসম্পর্ক ও বর্ণনামূলক জ্ঞাতিসম্পর্ক

রক্ত সম্পর্ক, জন্মগত সম্পর্ক, বংশগত সম্পর্ক, বৈবাহিক সম্পর্ক, প্রভৃতির ভিত্তিতে নির্ণীত সম্পর্ককে বোঝাতে জ্ঞাতিসম্পর্ক পরিভাষাটি ব্যবহৃত হয়। জ্ঞাতিসম্পর্ককে (১) প্রথাগত জ্ঞাতিসম্পর্ক ও (২) বর্ণনামূলক জ্ঞাতিসম্পর্ক, নামক আরও দু’টি সম্পর্কে বিভক্ত করা যায়।

১। প্রথাগত জ্ঞাতিসম্পর্ক: স্থানীয় প্রথাগত সূত্রে কাউকে আত্মীয় করে নেয়ার যে বন্ধন, তাই প্রথাগত জ্ঞাতি। সহজভাবে বলা যায়, আমাদের পাড়া-প্রতিবেশী, চেনা-পরিচিত, নিজ ধর্ম বা আদর্শের ব্যক্তিদের সাথে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে সেটিই প্রথাগত জ্ঞাতিসম্পর্ক। বাংলাদেশে এরূপ প্রথাগত বন্ধন লক্ষ করা যায়। যেমন- দোস্ত, মিতা, সখী, ধর্মভাই-বোন, প্রভৃতি।

২। বর্ণনামূলক জ্ঞাতিসম্পর্ক: আধুনিক সমাজে বর্ণনামূলক জ্ঞাতিসম্পর্কের উদ্ভব ও বিকাশ ঘটেছে। মর্গানের মতে, একক বিবাহের আবির্ভাবের সাথে বর্ণনামূলক জ্ঞাতিসম্পর্ক ও শক্ত মালিকানার ধারণাটিও চলে আসে। যা একক বিবাহ প্রথা উত্তরণের সাথে শুরু হয়। এ পদ্ধতিতে জ্ঞাতিসম্পর্ক নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। একক বিবাহের পর ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, মামা-মামী, খালা-খালু, চাচা-চাচি সবাইকে ভিন্ন ভিন্নভাবে পৃথক করে সম্বোধন করা সম্ভব হয়। জ্ঞাতিসম্পর্ককে এভাবে ভিন্ন ভিন্ন নামে সম্বোধন করার পদ্ধতিকে বর্ণনামূলক জ্ঞাতি সম্পর্ক বলে। [ইশরাত জাহান মিম]


সহায়িকা: সরকার, ড. মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, সমাজ বিজ্ঞান, লেকচার পাবলিকেশন লি. ঢাকা, পৃ: ১৯৫।


জ্ঞাতি সম্পর্ক কয় প্রকার


Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL


Leave a Reply