প্রশিক্ষণ (training) কী ?

প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ আয়োজন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিষ্ঠানের নতুন কর্মীদের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং পুরনো কর্মীদের পরিবর্তিত প্রযুক্তি ও পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানো প্রশিক্ষণের প্রধান শর্ত। প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে কর্মীদের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা, মনোভাব ও আচরণের উন্নতি সাধন করার প্রচেষ্টাকে প্রশিক্ষণ (training) বলে। অন্যভাবে বলা যায়, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনে কর্মীদের যে শিক্ষাদান করা হয়, তাকে প্রশিক্ষণ বলে। অর্থাৎ প্রশিক্ষণ বলতে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাজে উৎসাহ বাড়ানো, পেশাগত দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি এবং মনোভাব ও আচরণের পরিবর্তনের জন্য শিক্ষাদান করাকে বুঝায়।

অতএব কোনো বিশেষ কাজে দক্ষতা, কর্মক্ষমতা ও প্রবণতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একজন কর্মীকে অধিক দায়িত্ব পালনে সক্ষম করে গড়ে তোলার প্রক্রিয়াকে প্রশিক্ষণ হিসেবে অভিহিত করা যায়। প্রশিক্ষণের বিভিন্ন প্রামাণ্য সংজ্ঞা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

Gary Dessler – এর মতে, ‘Training refers to the methods used to give new or present employees the skills they need to perform their job.’ (অর্থাৎ ‘নিজ পদের কার্যসম্পাদনের প্রয়োজনে নতুন অথবা বর্তমান কর্মীকে দক্ষতা প্রদানে ব্যবহৃত পদ্ধতিকে প্রশিক্ষণ বলে।’)

Edwin B Flippo – এর মতে, ‘Training is the act of increasing the knowledge and skill of an employee for doing a particular Job.’ (অর্থাৎ, ‘নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে কর্মীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির কৌশলকে প্রশিক্ষণ বলে।’)

Skinner ও Invancevich – এর মতে, ‘Training is a continual process of helping employees perform at high level.’ (অর্থাৎ কর্মীদের উচ্চমাত্রায় কার্য সম্পাদনে সহায়তাদানের অবিরত প্রক্রিয়া হলো প্রশিক্ষণ।’)

Cascio – এর মতে, ‘Training consists of planned Programmes designed to improve performance at the individual, group and/or organizational levels improved performance intern implies that there have been measurable changes in knowledge, skills attitude and social behaviour.’ (অর্থাৎ, প্রশিক্ষণ হলো ব্যক্তিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে উন্নত কর্ম সম্পাদনের পরিকল্পিত কর্মসূচি। উন্নত কার্য সম্পাদন করতে পরিমাপনীয়ভাবে কর্মীদের জ্ঞান, দক্ষতা, মনোবল ও সামাজিক আচরণের পরিবর্তন সাধনকে বুঝায়।

পরিশেষে বলা যায়, প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জ্ঞান, দক্ষতা, আচরণের পরিবর্তন ও মনোভাব উন্নয়ন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, অপচয় ও ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস, সম্পদের সদ্ব্যবহার, কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে সংগঠিত প্রক্রিয়ায় শিক্ষা দান করা হয়, তাকে প্রশিক্ষণ বলে। [শারমিন জাহান সায়মা]


সহায়িকা: রেজা, প্রফেসর আজিজ আহমেদ সাদেক; হোসেন; মোঃ আলতাফ; হোসেন, মোঃ ইব্রাহিম; সরকার, সমাপন; সম্পাদনায়: এম. এ. কালাম; (জানুয়ারি, ২০১৯); প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন; ঢাকা: কমার্স পাবলিকেশন্স; পৃষ্ঠা ২,৩।


Follow Us in Our YouTube channel: GEONATCUL


Leave a Reply