প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস
পৃথিবীতে অসংখ্য ছোট বড় ও বৈচিত্র্যময় প্রাণি বাস করে। এদের মধ্যে নানারকম মিল ও অমিল রয়েছে। এ বৈচিত্র্যময় প্রাণিকূলে রয়েছে আণুবীক্ষণিক প্রাণি (অ্যামিবা) থেকে শুরু করে বিশাল আকারের তিমি। প্রাণির ভিন্নতা নির্ভর করে পরিবেশের বৈচিত্র্যের উপর। ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে ও বাসস্থানে প্রাণবৈচিত্র্য ভিন্ন রকম হয়। সহজে সুশৃঙ্খলভাবে বিশাল প্রাণিজগৎকে জানার জন্য প্রাণির বিন্যস্তকরণ প্রয়োজন, আর বিন্যস্ত করার এ পদ্ধতিকে প্রাণির শ্রেণিবিন্যাস বলে। প্রাণির শ্রেণিবিন্যস প্রাণিজগৎকে জানার পথ সহজ করে দিয়েছে। নিম্নে প্রাণির শ্রেণিবিন্যসসমূহ তুলে ধরা হলো:
আজ পর্যন্ত প্রায় ১৫ লক্ষ প্রজাতির প্রাণি আবিষ্কৃত হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত এদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিপুল সংখ্যক প্রাণির গঠন ও প্রকৃতি সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জনের উপায় হলো শ্রেণিবিন্যস। প্রাণিদেহে বিদ্যমান বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও বিভিন্ন প্রাণির মধ্যে মিল, অমিল ও পরস্পরের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে প্রাণির শ্রেণীবিন্যাস করা হয়। এদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভিন্ন স্তর বা ধাপে সাজানো হয়। জীবজগৎকে ধাপে ধাপে বিন্যস্ত করার এ পদ্ধতিকে প্রাণির শ্রেণিবিন্যাস বলে। জীববিজ্ঞানের এটি একটি স্বতন্ত্র বা নিরপেক্ষ শাখা। এর নাম শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা (Taxonomy)।
প্রকৃতিবিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসকে শ্রেণিবিন্যাসের জনক বলা হয়। তিনিই সর্বপ্রথম প্রজাতির বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেন এবং দ্বিপদ (দুই অংশ বিশিষ্ট) নামকরণ প্রথা প্রবর্তন করেন। এ নামকরণকে দ্বিপদ নামকরণ বা বৈজ্ঞানিক নামকরণ বলে। যেমন – মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম – Homo Sapiens। বৈজ্ঞানিক নাম ল্যাটিন অথবা ইংরেজি ভাষায় লিখতে হয়। নিচে প্রাণির কয়েকটি প্রধান বৈশিষ্ট্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলো:
দেহের আকার (body shape): দেহের আকার অনুসারে প্রাণি নিম্নরূপ:
ক. মাইক্রো বা আণুবীক্ষণিক প্রাণি (Micro-animal): এসব প্রাণি এত ক্ষুদ্র যে, এদের অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া খালি চোখে দেখা যায় না। যেমন: চোখ কৃমি (Loa loa), মাছের ফুলকার প্রোটিস্টান জীবাণু (Trichodina)।
খ. ম্যাক্রো বা বৃহৎ প্রাণী (Macro-animal): এসব প্রাণি আকারে বড় এবং খালি চোখে ভালোভাবে দেখা যায়। যেমন- গিনিপিগ (Cavia porcellus)। [ইশরাত জাহান মিম]
সহায়িকা:
১। আজমল, গাজী; আসমত, গাজী; (২০১৭), জীববিজ্ঞান ২য় পত্র (একাদশ – দ্বাদশ); ঢাকা: গাজী পাবলিশার্স, পৃষ্ঠা – ২।
২। বিজ্ঞান (৮ম শ্রেণি), ঢাকা: জাতীয় শিক্ষাক্রম বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ১ – ২।
প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস কি?
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL