বাড়ির প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা সবজি চাষে ব্যবহার এবং যে স্থানে যে সবজি লাগাবেন
আমাদের বাড়িতে কম বেশি জায়গা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। অব্যবহৃত এসব জায়গাকে ব্যবহার উপযোগী করা যায়। বাড়ির প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা সবজি চাষে ব্যবহার করা যায়। কোন জায়গায় বা স্থানে কি সবজি লাগাবেন জেনে নিন।
১. আদা ও হলুদ – বাড়ির ছায়াযুক্ত স্থানে চাষ করা যায়।
২. ধুন্দল – বাড়ির বড় গাছে কিংবা অ-ফলা গাছে বা বাথরুমের পাশে ও চালে চাষ করা যায়। ধুন্দল গ্রামের প্রতিটি রাস্তার ধারে অ-ফলা গাছে লাগানো যায়। স্কুল, মাদ্রাসা মসজিদ, মক্তব ও মন্দিরসহ যাবতীয় প্রতিষ্ঠানে এ সকল সবজি চাষ করা যায়।
৩. কাঁচা মরিচ ও বেগুন – বসত ঘরের ঢেলায় চাষ করা যায়।
৪. চাল কুমড়া ও মিষ্টি কুমড়া – বসত ঘরের চালে এবং রান্না ঘরের চালে চাষ করা যায়।
৫. পালংশাক, পুইশাক, ঢেঁড়শ, কলমী, চিচিংগা, করলা, মিষ্টি কুমড়া, শসা, লাউ, ধনিয়া ও পুদিনা – বাড়ির যেখানে একটু রোদ পড়ে বা রোদ পড়ে এমন বাড়ির উঠান/উঠানের পাশে চাষ করা যায়।
৬. বরবটি, ঢেঁড়শ, চাল কুমড়া, করলা ও শসা – বাড়ির গেইটে (প্রবেশপথে) সারি করে চাষ করা যায়।
৭. মরিচ, বেগুন, ঢেঁড়শ ও পেঁপে – বাড়ির সীমানা প্রাচীরে সারি করে চাষ করা যায়।
৮. পুইশাক, ঢেঁড়শ, করলা, মিষ্টি কুমড়া, ধনিয়া, পুদিনা, লাউ, শসা, কলমী ও চিচিংগা – পুকুরপাড়ে চাষ করা যায়।
৯. লেবু – বাড়ির সীমানায় বেড়া হিসেবে লেবু চাষ করা যায়; ফলও পাওয়া যাবে, বেড়াও হবে।
১০. কচু – পুকুরের পাড়ে, টিউবওয়েলের নালায় বা গর্তে/স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে চাষ করা যায়।
১১. চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, চিচিংগা, করলা, শশা, মরিচ, পুদিনা, বিলাতী ধনিয়া ইত্যাদি – ব্যবসা প্রতিষ্ঠান/দোকানের আশেপাশে ও ছাদ বা চালায় চাষ করা যায়।
১২. পুদিনা – বাড়ির ছাদে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বালতি ও টবে চাষ করা যায়। একই সাথে বিলাতি ধনিয়াও চাষ করা যায়। [সংকলিত]
যে স্থানে সবজি চাষ করবেন
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL