বৃক্কে পাথর বলতে কি বুঝায়?
বৃক্ক বা কিডনি মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। একজন মানুষকে সুস্থ সবল রাখতে বৃক্কের ভূমিকা অপরিহার্য। বৃক্ক মানবদেহ থেকে ক্ষতিকর নাইট্রোজন জাতীয় পদার্থসহ বিভিন্ন বর্জ্য অপসারণ করে। বৃক্ক মানবদেহে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড, ইত্যাদির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া মানবদেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, পানি, অম্ল এবং ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে। নানারকম রোগের কারণে বৃক্কের বা কিডনির স্বাভাবিক কাজে বিঘ্ন ঘটে। কিডনির প্রদাহ, প্রস্রাবে সমস্যা, কিডনিতে পাথর হওয়া, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। কিডনি রোগের লক্ষণগুলো হলো: শরীর ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবে অতিরিক্ত প্রোটিন যাওয়া, রক্ত মিশ্রিত প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বা ক্ষেত্রবিশেষে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া।

মানুষের কিডনিতে ছোট আকারের পাথর জাতীয় পদার্থের সৃষ্টিই বৃক্কের পাথর বা কিডনির পাথর (kidney stone) হওয়ার আশঙ্কা। অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, কিডনির সংক্রমণ, কম পানি পান করা, ইত্যাদি বৃক্কে বা কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ হতে পারে।
প্রাথমিকভাবে বৃক্কে পাথর হলে তেমন সমস্যা ধরা পড়ে না। তবে, সমস্যা হয় যখন পাথর প্রস্রাব নালিতে চলে আসে এবং প্রস্রাবে বাধা দেয়। উপসর্গ হিসেবে কোমরের পিছনে ব্যথা হবে। অনেকের প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হয়। অনেক সময় কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
বৃক্কের পাথরের চিকিৎসা নির্ভর করে পাথরের আকার এবং অবস্থানের উপর। সাধারণত অধিক পানি গ্রহণ এবং ঔষধ সেবনে পাথর অপসারণ করা যায়। আধুনিক পদ্ধতিতে ইউরেটারোস্কোপিক কিংবা আল্ট্রাসনিক লিথট্রিপসি অথবা বৃক্কে অস্ত্রোপচার করে পাথর অপসারণ করা যায়। [ইশরাত জাহান মিম]
সহায়িকা: জীববিজ্ঞান (নবম- দশম), বোর্ড বই, পৃষ্ঠা – ১৮৪।
Image: Kidney stone disease
প্রসাবের রাস্তায় পাথর লক্ষণ
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL