মাঙ্কিপক্স | Monkeypox
মাঙ্কিপক্স [Monkeypox] একটি ভাইরাসজনিত ছোঁয়াছে রোগ। এটি মূলত পশু থেকে মানুষে ছড়ায়, ১৯৫৮ সালে ডেনমার্কে সর্বপ্রথম বানরের শরীর থেকে এ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। তবে মানুষে মানুষেও ছড়াতে পারে। এটি মানুষের অরথপক্স ভাইরাসগুলোর মধ্যে একটি, যার মধ্যে ভ্যারিওলা (VARV), কাউপক্স (CPX), এবং ভ্যাক্সিনিয়া (VACV) ভাইরাস রয়েছে। এ ভাইরাস পক্সভাইরাডে পরিবারের মধ্যে অরথোপক্সভাইরাস (Orthopox virus)- এর অন্তর্গত। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, পিঠে ব্যথা, এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি বা ঘা অন্তর্ভুক্ত। সংক্রমণ সাধারণত ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়, তবে গুরুতর ক্ষেত্রে তা জীবননাশকও হতে পারে। রোগটি কন্টাক্ট বা দেহের তরল থেকে ছড়াতে পারে, তাই সতর্কতা ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি।
মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ:
প্রাথমিক লক্ষণ: জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, ক্লান্তি, এবং লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া।
পরবর্তী লক্ষণ: ত্বকে ফুসকুড়ি বা ঘা, যা প্রায়ই মুখে শুরু হয় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
ছড়ানোর উপায়: সংক্রামিত প্রাণী (যেমন: বানর বা ইঁদুর) থেকে কামড়, আঁচড়, বা সরাসরি সংস্পর্শে আসা। সংক্রামিত ব্যক্তির শরীরের তরল বা ফুসকুড়ি থেকে।
চিকিৎসা: মাঙ্কিপক্সের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে উপসর্গ উপশমে সাপোর্টিভ কেয়ার প্রদান করা হয়। কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ কার্যকর হতে পারে।
প্রতিরোধ: সংক্রামিত ব্যক্তি বা প্রাণীর সাথে –
1. সরাসরি যোগাযোগ এড়ানো;
2. ভালোভাবে হাত ধোয়া;
3. টিকা গ্রহণ (যেমন: স্মলপক্স টিকা) কিছু ক্ষেত্রে সুরক্ষা দিতে পারে; এবং
4. এই রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে সতর্কতা এবং সঠিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। [ইশরাত জাহান মিম]
Image Source: wikipedia.org
মাঙ্কিপক্স কি?
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL