মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণ

সাম্প্রতিককালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হলো মুদ্রার অবমূল্যায়ন তথা বহির্মূল্য হ্রাস। সাধারণভাবে, মুদ্রার মূল বৈদেশিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে হ্রাস পেলে তাকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলে। মুদ্রার অবমূল্যায়নের বিশেষ কিছু উদ্দেশ্য বা মুদ্রা অবমূল্যায়নের বেশ কিছু কারণ রয়েছে। নিম্নে তা আলোচনা করা হলোঃ

১. ক্রমাগত ঘাটতি মোকাবেলায়: বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষা এবং বৈদেশিক লেনদেনের ক্রমাগত ঘাটতি মোকাবেলা করার জন্য মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়।

২. সামঞ্জস্য বিধানে: আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় ক্ষেত্রে মুদ্রার মূল্যের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করার জন্য মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়।

৩. আমদানি নিরুৎসাহিতকরণ: অপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর আমদানি নিরুৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।

৪. রপ্তানিকারকদের উৎসাহিতকরণ: রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করার জন্য অনেক সময় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়।

৫. বাণিজ্য রক্ষাকরণ: অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি মুদ্রার অবমূল্যায়নের বিরূপ প্রভাব হতে নিজ দেশের বাণিজ্যকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়।

৬. চোরাচালান ও অবৈধ বাণিজ্য রোধকরণ: বিদেশি মুদ্রার চোরাচালান ও অবৈধ বাণিজ্য রোধ করার প্রয়োজনে মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।

৭. বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিতকরণ: দেশে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।

৮. ডাম্পিং নীতির প্রতিরোধকরণ: ডাম্পিং নীতির প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে দেশীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।

৯. রপ্তানি বৃদ্ধি: মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে রপ্তানি বৃদ্ধি পায় এবং আমদানির বিকল্প শিল্প সম্প্রসারিত হয়।

১০. কর্মসংস্থান বৃদ্ধি: মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে পরোক্ষভাবে দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়।

পরিশেষে বলা যায়, উপরে উল্লেখিত বিভিন্ন উদ্দেশ্য বা কারণে মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। [শারমিন জাহান সায়মা]


সহায়িকা: জোয়ারদার, সুকেশ চন্দ্র, আলম, মোঃ শাহ, ও আখতার, সুফিয়া, (২০২০), আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, মিলেনিয়াম পাবলিকেশন্স, ঢাকা, পৃষ্ঠা ১৮৪-১৮৫।


📖 মুদ্রার অবমূল্যায়নের উদ্দেশ্যসমূহ।
📖 Causes of Currency Devaluation.
📖 Objective of Currency Devaluation.


Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL


Leave a Reply