মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলতে কী বুঝায়?

সাধারণ পণ্যদ্রব্যের ন্যায় মুদ্রারও মূল্য রয়েছে। সাম্প্রতিককালের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হলো মুদ্রার অবমূল্যায়ন তথা মুদ্রার বহির্মূল্য হ্রাস। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সর্বপ্রথমে অবমূল্যায়ন কৌশল প্রয়োগ করা হয়।

মুদ্রার অবমূল্যায়ন [Devaluation of Currency]: সাধারণ অর্থে, মুদ্রার মূল্য বৈদেশিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে হ্রাস পেলে তাকে মুদ্রার বহির্মূল্য হ্রাস বা মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সদস্য হিসেবে রাষ্ট্র নিজ দেশের মুদ্রার নির্দিষ্ট স্বর্ণমূল্য ঘোষণা করে থাকে। সরকার কর্তৃক ঘোষণার মাধ্যমে নিজ দেশের মুদ্রার স্বর্ণমূল্য হ্রাস করাকে বলা হয় অবমূল্যায়ন।

মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হলে এক একক দেশীয় মুদ্রার বিনিময়ে পূর্বাপেক্ষা কম পরিমাণ স্বর্ণ অথবা বিদেশী মুদ্রা পাওয়া যায়। যেমন: ধরা যাক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ডলারের সাথে বাংলাদেশের টাকার বিনিময় হার হলো, ১ ডলার = ১,০০.০০ টাকা বাংলাদেশ সরকার যদি ডলারের তুলনায় মুদ্রার মূল্য হ্রাস করে ১ ডলার = ১,০৫.০০ টাকা ধার্য করে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এভাবে বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবে অথবা স্বর্ণের হিসাবে যখন কোন দেশের মুদ্রার আন্তর্জাতিক বিনিময় মূল্য সরকারি আদেশে হ্রাস করা হয় তখন তাকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন (devaluation) বলে।

অধ্যাপক ইসলাম ও ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময় বাজারে দেশি মুদ্রার বৈদেশিক বিনিময় মূল্যের হার হ্রাস করাকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন বা বহির্মূল্য হ্রাস বলা হয়।

অধ্যাপক রাফিন এবং গ্রেগরীর মতে, “The term devaluation refer to official changes is the exchange rate in a fixed exchange rate system.”

পরিশেষে বলা যায়, কোনো বিদেশি মুদ্রার সাথে দেশি মুদ্রার বিনিময় মূল্যে হার হ্রাস করাকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলা হয়। [শারমিন জাহান সায়মা]


সহায়িকা: জোয়ারদার, সুকেশ চন্দ্র, আলম, মোঃ শাহ, ও আখতার, সুফিয়া, (২০২০), আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, মিলেনিয়াম পাবলিকেশন্স, ঢাকা, পৃষ্ঠা ১৮৩-১৮৪।


মুদ্রার অবমূল্যায়ন কী?


Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL


Leave a Reply