মুয়াবিয়া (রা.)-কে কেন আরবদের প্রথম রাজা বলা হয়?

ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রা) মৃত্যুর পর তার সমর্থকগণ ইমাম হাসান (রা) কে খলিফা হিসেবে মেনে নেয়। তবে ক্ষমতালোভী মুয়াবিয়া (রা) কৌশলে এক সন্ধির মাধ্যমে ইমাম হাসানকে খিলাফত থেকে সরিয়ে মুসলিম রাষ্ট্রের খলিফা হন এবং কুফা হতে রাজধানী দামেস্কে স্থানান্তরিত করে। মুয়াবিয়া সেখানে উমাইয়া বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। হযরত মুয়াবিয়া (রা) সন্ধির চুক্তি ভঙ্গ করে এবং তার জীবদ্দশায় পুত্র ইয়াজিদকে পরবর্তী খলিফা মনোনীত করেন। এর ফলে খিলাফতের ধারা বিলুপ্ত হয় এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতির পরিবর্তে রাজতান্ত্রিক পদ্ধতি চালু হয়। অর্থাৎ হযরত মুয়াবিয়া (রা) মুসলিম শাসনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজতন্ত্রের ধারা প্রবর্তন করেন। তিনি উত্তরাধিকার ভিত্তিতে খলিফা নির্বাচনের প্রথা চালু করেন। এর ফলে রাজতান্ত্রিক প্রথা চালু হয়, যা আজও সৌদি আরবসহ আরবের কতিপয় রাষ্ট্রে প্রচলিত রয়েছে। আর এ রাজতান্ত্রিক ধারার প্রথম রাজা হলেন মুয়াবিয়া (রা)। আর একারণেই মুয়াবিয়া (রা) -কে আরবদের প্রথম রাজা বলা হয়। [ইশরাত জাহান মিম]


সহায়িকা: হাছান, মোঃ মাহমুদুল, ইসলামের ইতিহাস ১ম পত্র (একাদশ -দ্বাদশ), (জুন, ২০১৩), ঢাকা: লেকচার পাবলিকেশন্স লি., পৃ: ২৬৪, ২৬৫।



Leave a Reply