মৌলিক পদার্থ: ধাতু এবং অধাতুর ধারণা ও বৈশিষ্ট্য
মৌলিক পদার্থ কি?
মৌলিক পদার্থ বা মৌল বলতে সে সব বস্তুকে বুঝায়, যে সব বস্তুকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করে অন্য কোনো সহজ বস্তুতে রূপান্তরিত করা যায় না। এ মৌলিক পদার্থকে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন – (১) ধাতু ও (২) অধাতু।

ধাতু কি?
যে সব পদার্থ বা বস্তু সাধারণত ঘষলে চকচক করে, আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয়, পিটিয়ে পাত করা যায়, তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী, সেসব পদার্থ বা বস্তুকে ধাতু বলে । যেমন – লোহা, দস্তা, সোনা, তামা, এলুমিনিয়াম, সোডিয়াম, ইত্যাদি।
ধাতুর সাধারণ একটি বৈশিষ্ট্য হলো এ পদার্থগুলো দেখতে চকচকে। সোনার গহনা, এলুমিনিয়ামের নানা রকম পাত্র, তামার বৈদ্যুতিক তার, প্রভৃতি নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে রান্নার কাজে এলুমিনিয়ামের পাত্র বা লোহার কড়াই ব্যবহার করা হয়। কেননা এগুলো চুলার আগুন থেকে তাপ পরিবহন করে রান্নার মূল উপাদানে (যেমন- চাল বা মাছ) পৌঁছে দেয় ও উপাদানগুলো ঐ তাপে সিদ্ধ হয়ে যায়। অর্থাৎ ধাতুর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এরা তাপ পরিবহন করে। তাই এদের তাপ সুপরিবাহী বলা হয়।
আবার দেখা যায়, বিদ্যুৎ পরিবহনে তামার তার ব্যবহার করে বিদ্যুৎ পরিবহন করা সম্ভব হয়। অর্থাৎ ধাতু বা ধাতব পদার্থসমূহ বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। যেমন- তামা, লোহা, স্বর্ণ, ইত্যাদি।
এককথায় বলা যায়, ধাতু বা ধাতব পদার্থসমূহ ঘষলে সাধারণত চকচকে হয় এবং তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী হয়ে থাকে।
অধাতু কি?
যে সব পদার্থ বা ধাতু বিদ্যুৎ পরিবহন করে না এবং কোনো আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল অনুভব করে না, সে সব পদার্থ বা ধাতুকে সাধারণত অধাতু বলা হয়। যেমন – কাঠ, প্লাস্টিক, কাচ, ইত্যাদি।
আবার, প্রধানত তাপ ও বিদ্যুৎ কুপরিবাহী মৌলকে অধাতু বলা হয়। যেমন – নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, ক্লোরিন, ইত্যাদি। কেননা ধাতুর মতো চকচকে বা এ জাতীয় চোখে পড়ার মতো বৈশিষ্ট্য অধাতু পদার্থের নেই। এসব ধাতুর মতো তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহনও করে না, তাই এদের তাপ ও বিদ্যুৎ কুপরিবাহী বা অপরিবাহী পদার্থ বলা হয়। [ইশরাত জাহান মিম]
সহায়িকা: সাধারণ বিজ্ঞান (৬ষ্ঠ শ্রেণি, বোর্ড বই) পৃষ্ঠা ৬১।
Follow Us in Our Youtube Channel: GEONATCUL