রিকেটস রোগ এবং এর প্রতিকার

ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবের কারণে রিকেটস (rickets) এবং অস্টিওম্যালেসিয়া (osteomalacia) রোগ মানব শরীরে দেখা দেয়। শিশুদের শরীরে রিকেটস, এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের শরীরে অস্টিওম্যালেসিয়া রোগ হয়। নিচে রিকেটস রোগ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

রিকেটস (rickets): ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাব হলে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়। ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাব হলে অন্ত্রের (intestine) মাধ্যমে শিশুদের দেহে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ কমে যায়। ফলে শিশুদের হাড় ঠিক মতো বৃদ্ধি পায় না। হাড়ের গঠন ও আকৃতি অস্বাভাবিক হয়। শিশুদের দেহে অস্বাভাবিক হাড়ের গঠন ও আকৃতির এ অবস্থাটিকে রিকেটস বলা হয়।

রিকেটস রোগ এবং এর প্রতিকার
শিশুদের রিকেটস রোগ। সূত্র: britannica.com

রিকেটস রোগের লক্ষণ: শিশুদের দেহে রিকেটস রোগ হলে যে সব লক্ষণ দেখা যায়, সে সব হলো:
১. হাড়ের গঠন ও আকৃতি অস্বাভাবিক হয়। পায়ের লম্বা হাড় ধনুকের মতো বেঁকে যায়।
২. শিশুর মাংসপেশি শিথিল ও দুর্বল হয়ে হয়ে পড়ে।
৩. দাঁত গঠন হতে দেরি হয়। শিশু ভীরু ও অস্থির প্রকৃতির হয়।
৪. মেয়ে শিশুদের কোমরের হাড় ঠিকমতো বাড়ে না। ফলে পরবর্তীকালে সন্তান প্রসবে অসুবিধা হয়।
৫. মাথার খুলি বড় হয়ে যায়।
৬. পায়ের কবজি, হাঁটু ও গোড়ালির হাড় মোটা হয় এবং জোড়াগুলো ফুলে ওঠে।
৭. বুকের পাঁজরের হাড়গুলো একটির ভেতর অন্যটি ঢুকে যায়। বিকৃত পাঁজরের জন্য ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।

রিকেটস রোগের প্রতিকার: রিকেটস রোগ যে সব উপায়ে প্রতিকার করা যায়, সে সব হলো:
১. জন্মের পর মায়ের বুকের প্রথম দুধ বা শালদুধ শিশুকে খাওয়াতে হবে।
২. ৬ মাস বয়সের পর শিশুর বাড়তি খাবারে ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ উপাদান রাখতে হবে।
৩. অতি শৈশবে শিশুকে প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে ৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে রাখতে হবে।
৪. যে কোন সংক্রমণে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। [ইশরাত জাহান মিম]


সহায়িকা: সুলতানা, প্রফেসর রাফিকা, এবং আরা, গাজী হোসনে, গার্হস্থ বিজ্ঞান, কাজল ব্রাদার্স লি., ঢাকা, পৃষ্ঠা ২১৩, ২১৪।


রিকেটস রোগের প্রতিকার


Follow Us in Our Youtube Channel: GEONATCUL


Leave a Reply