লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা

হিসাবের দিক থেকে লেনদেনের ঊর্ধ্বতনের ভারসাম্যের অভাব বলতে কিছু নেই। লেনদেনের ঊর্ধ্বতনের হিসাবগত দিক হতে সবসময় সমতা থাকে। অতএব, লেনদেন হিসাবে সমতা থাকলেও বাস্তবে একটি দেশের লেনদেনের ঊর্ধ্বতনে ভারসাম্যহীনতা থাকতে পারে। প্রচলিতভাবে কোন দেশের বৈদেশিক দেনা-পওনার হিসাব দু’প্রকার হয়ে থাকে। (ক) সক্রিয় লেনদেন ও (খ) নিষ্ক্রিয় লেনদেন। যেমন-

পণ্য আমদানি একটি সক্রিয় দেনা উপাদান এবং পণ্য রপ্তানি সক্রিয় পাওনা উপাদান। সর্বক্ষেত্রে বৈদেশিক লেনদেনের সময় প্রতিটি সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় উপাদানের বিপরীতে একটি নিষ্ক্রিয় এবং সক্রিয় উপাদান থাকে। যদি সক্রিয় হিসাব দেনার আকারে থাকে তবে নিষ্ক্রিয় হিসাব পাওনার আকারে থাকবে। আবার কোন সক্রিয় হিসাব যদি পাওনা আকারে থাকে তাহলে নিষ্ক্রিয় হিসাব দেনা আকারে থাকবে। সুতরাং কোন দেশের সক্রিয় পাওনা এবং সক্রিয় দেনার পার্থক্যকে ঐ দেশের বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা বলে। যদি সক্রিয় পাওনা সক্রিয় দেনার চেয়ে বেশি থাকে তবে বৈদেশিক লেনদেন ঊর্ধ্বতন পরিলক্ষিত হবে। বিপরীত অবস্থায় ঐরূপ হিসাবে ঘাটতি পরিলক্ষিত হবে। নিচে চিত্রের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হলো:

লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা
চিত্র: লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা।

চিত্র OX রেখার বৈদেশিক বিনিময়ের চাহিদা ও যোগানের পরিমাণ এবং OY রেখার বিনিময় হার প্রদর্শন করা হয়েছে। চিত্রে DD রেখা দ্বারা বৈদেশিক লেনদেনের মোট সক্রিয় দেনা এবং ss রেখা দ্বারা মোট সক্রিয় পাওনা বিচারিত। Q বিন্দুতে DD ও SS রেখা পরস্পর ছেদ করে। সুতরাং Q বিন্দুতে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য আছে। কিন্তু এর চেয়ে কম বা বেশি বিনিময় হারে বৈদেশিক লেনদেনে অভারসাম্য পরিলক্ষিত হবে। যেমন- r1 বিনিময় হারে মোট সক্রিয় পাওনার চেয়ে মোট সক্রিয় দেনা বেশি। ফলে বৈদেশিক লেনদেনে ঘাটতির পরিমাণ RT। অপরদিকে r2 বিন্দুতে সক্রিয় দেনার তুলনায় সক্রিয় পাওনার পরিমাণ বেশি। এক্ষেত্রে উদ্বৃত্তের পরিমাণ MN। এভাবে বৈদেশিক বিনিময় হারের সাথে সক্রিয় পাওনা ও সক্রিয় দেনার সম্পর্ক স্থাপন করে লেনদেনের অভারসাম্য পরিমাপ করা হয়। [শারমিন জাহান সায়মা]


লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা বলতে কী বুঝ?
What is Disequilibrium in the Balance of Payment?
লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা কিভাবে পরিমাপ করা যায়?


Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL


Leave a Reply