শক | Shock
শক (shock) এর আভিধানিক অর্থ হলো ধাক্কা বা আঘাত বা কম্পন। তবে, মানব শরীরে যখন শক-এর সৃষ্টি হয়, তখন শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতায় বাঁধার সৃষ্টি হয়। হঠাৎ অসুস্থতা, আঘাত, গুরুতর রক্তক্ষরণের কারণে সমস্ত শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিয়াকলাপের হতাশাকর অবস্থাকে শক (shock) বলে। কোনো মানুষ যখন শক পান, তখন শরীরের টিস্যুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না।

শক-এর কারণ (causes of shock) : বিভিন্ন কারণে মানষের শক-এর সৃষ্টি হতে পারে। এগুলো হলো :
১। হার্টের অবস্থা (হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর);
২। ভারী অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক রক্তপাত বা রক্তক্ষরণ, যেমন: গুরুতর আঘাত থেকে হয়ে থাকে;
৩। ডিহাইড্রেশন (dehydration) বা পানিশূন্যতা;
৪। সংক্রমণ (septic shock);
৫। গুরুতর এলার্জি প্রতিক্রিয়া (অ্যানাফিল্যাকটিক শক);
৬। মেরুদণ্ডের আঘাত (নিউরোজেনিক শক);
৭। গুরুতর পোড়া;
৮। ক্রমাগত বমি বা ডায়রিয়া;
৯। গুরুতর বা নিবিড় আঘাত;
১০। রক্তনালীতে পরিবর্তন (যেমন: সংক্রমণ বা গুরুতর এলার্জি প্রতিক্রিয়া);
১১। তীব্র ব্যথা;
১২। মানসিক কারণ বা মানসিক চাপ ও ভয়;
১৩। অস্ত্রোপচারের পরে অস্ত্রোপচারের শক;
১৪। প্রসবের সময় এবং পরে;
১৫। বৈদ্যুতিক শক;
১৬। চরম তাপ এবং ঠান্ডা থেকে;
১৭। বিষাক্ত সাপ বা পোকামাকড়ের কামড় বা হুল ফুটলে;
১৮। গ্যাসের বিষক্রিয়ার ফলে;
১৯। অভ্যন্তরীণভাবে নেওয়া বিষ; এবং
২০। নির্দিষ্ট অসুস্থতা। [ইশরাত জাহান মিম]
সহায়িকা : Sheikh Md. Zahirul Alam (ph.D), Inspire, Fundamentals Of Nursing, (DNSM), Tamanna Publications, Dhaka, Page : 481, 482.
মানসিক শক কাকে বলে?
Image: Shock (circulatory), wikipedia.org