শিশুর বর্ধন ও বিকাশ: বিকাশের জন্য পরিপক্বতা ও শিক্ষার গুরুত্ব

শিশুর বর্ধন ও বিকাশ:

শিশুর বর্ধন ও বিকাশ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত নিরবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। মনোবিজ্ঞানী Anderson এর মতে, বর্ধন ও বিকাশ বলতে শুধু দৈহিক আকার অনুপাতেরই পরিবর্তন বোঝায় না, এটা শিশুর অন্তর্নিহিত সম্ভাবনা এবং বাহ্যিক বেড়ে উঠাকে বুঝায়। শিশুর যেমন দৈহিক বর্ধন আবশ্যক তেমনি পারিপার্শ্বিকতার সাথে অভিযোজনের জন্য মানসিক, সামাজিক, বুদ্ধিগত, আবেগীয় ও নৈতিক বিকাশ সাধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্ধন হলো দৈহিক কাঠামোগত পরিবর্তন, যা দৃশ্যমান ও পরিমাপ করা যায়। আর বিকাশ হলো শিশুর গুণগত পরিবর্তন, যা আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।

বিকাশের জন্য পরিপক্বতা ও শিক্ষার গুরুত্ব:

বিকাশ হলো গুণগত পরিবর্তন, যা আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। বিকাশের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে পরিপক্বতা ও শিক্ষার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ও বিকাশকে পরিপক্বতা বলে। পরিপক্বতা লাভের জন্য কোনো শিক্ষার প্রয়োজন হয় না। শিক্ষা হলো এমন এক ধরনের বিকাশ, যা অনুশীলন ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জিত হয়। পরিপক্বতার সাথে শিক্ষার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। পরিপক্কতা বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হলেও এর বিকাশের জন্য শিক্ষার দরকার। মোটকথা বিকাশের জন্য পরিপক্বতা ও শিক্ষা গুরুত্ব অপরিসীম। [ইশরাত জাহান মিম]


সহায়িকা: সুলতানা, প্রফেসর রাফিকা, এবং আরা, গাজী হোসনে, গার্হস্থ বিজ্ঞান (২য় পত্র), একাদশ -দ্বাদশ, ঢাকা: কাজল ব্রাদার্স লি, পৃষ্ঠা – ৮৯, ১১২।


Follow Us in Our Youtube Channel: GEONATCUL


Leave a Reply