শুল্ক সংঘ কাকে বলে?
অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় একটি রূপ হলো শুল্ক সংঘ বা শুল্ক ইউনিয়ন (customs union)। দুই বা ততোধিক দেশ তখনই একটি শুল্ক সংঘ গঠন করে, যখন তারা পরস্পরের দ্রব্যের উপর থেকে সব ধরনের আমদানি শুল্ক তুলে নেয়। কেবল মূলধন সেবার ক্ষেত্র ব্যতিত এবং বাকি বিশ্বের মূলধন সেবা ব্যতিত সব ধরনের আমদানিকৃত দ্রব্যের উপর একই ধরনের বহি:স্থ শুল্ক ধার্য করা হয়।
শুল্ক সংঘের সংজ্ঞা: শুল্ক সংঘ বলতে কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট বাণিজ্যিক চুক্তিকে বুঝায়। যেখানে সদস্য দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো বিধি নিষেধ থাকে না। কিন্তু সদস্য দেশগুলো বাণিজ্যিক চুক্তির নীতি এবং চুক্তির বাহিরের বাণিজ্য নীতি মেনে চলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিচালনা করে। যেমন- শুল্ক সংঘ বলতে এমন একটি সংঘকে বুঝানো হয়, যার সদস্য দেশ নিজেদের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য বজায় রাখে, অথচ শুল্ক সংঘের বাহিরের দেশের সাথে তারা সংরক্ষিত বাণিজ্য পরিচালনা করে। সংজ্ঞা থেকে শুল্ক সংঘের দুটি উদ্দেশ্য জানা যায়। যেমন:
১. সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য শুল্ক অপসারণ, এবং
২. বাহিরের দেশের সাথে এক জোট এবং একই নীতির ভিত্তিতে অভিন্ন শুল্ক আরোপণ।
উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, শুল্ক সংঘ গঠনের সুবিধা এবং অসুবিধা দুই-ই আছে। তবে অসুবিধার চেয়ে সুবিধাই বেশি বলা যায়। তাই প্রত্যেকটি দেশকে শুল্ক সংঘ গঠনের মাধ্যমে বাণিজ্যে লিপ্ত হওয়া উচিত। এতে প্রত্যেকটি দেশ যেমন লাভবান হবে, তেমনি লাভবান হবে সমগ্র বিশ্ব। [শারমিন জাহান সায়মা]
সহায়িকা: আলী, মোঃ সাহেব, জুলাই ২০১৯, অনার্স চতুর্থ বর্ষ ব্যতিক্রম বই (অধ্যায়-২)।
শুল্ক সংঘ কি?
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL