সমাস কী? সমাস কাকে বলে উদাহরণসহ বিস্তারিত আলোচনা

  1. দ্বন্দ্ব সমাস: দুটি সমার্থক, বিপরীতার্থক বা সম্পর্কিত শব্দের মিলনে দ্বন্দ্ব সমাস হয়। যেমন: দিন-রাত, রাম-লক্ষ্মণ, মা-বাবা।
  2. দ্বিগু সমাস: একই শব্দের পুনরাবৃত্তি বা সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে বিশেষ্যের মিলনে দ্বিগু সমাস হয়। যেমন: দুই-দুই, তিন-চার, পাঁচ-ছয়।
  3. কর্মধারয় সমাস: বিশেষণ বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের মিলনে কর্মধারয় সমাস হয়। যেমন: নীলকমল, সুন্দরী, দীর্ঘজীবী।
  4. তৎপুরুষ সমাস: বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয়, সংখ্যাবাচক বা ক্রিয়াপদের সাথে বিশেষ্যের মিলনে তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন: রামের বাড়ি, সুন্দর ফুল, নীল আকাশ।
  5. বহুব্রীহি সমাস: যৌগিক শব্দের অর্থ পূর্ণাঙ্গ বাক্যের মতো প্রকাশ করে এমন সমাসকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন: নীলাঞ্জন, ষড়ানন।
  6. অব্যয়ীভাব সমাস: অব্যয় পদের সাথে বিশেষ্য, বিশেষণ, ক্রিয়া, অব্যয় বা সংখ্যাবাচকের মিলনে অব্যয়ীভাব সমাস হয়। যেমন: সহজে, দ্রুত, অল্পক্ষণে।
  1. সমাসের মাধ্যমে বাক্যে প্রয়োজনীয় শব্দের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। ফলে বাক্য গঠন সহজ হয় এবং লেখা বা বলা দ্রুততর হয়।
  2. সমাস ব্যবহার করে বাক্যকে আরও সাবলীল ও সুন্দর করে তোলা যায়।
  3. সমাসের মাধ্যমে শব্দের মধ্যে সম্পর্ক স্পষ্ট করে তোলা হয় এবং বাক্যের অর্থ আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
  4. সমাস ভাষায় বৈচিত্র্য আনে এবং লেখার ধরনকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
  5. সমাসের মাধ্যমে বাংলা ভাষার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করে রাখা সম্ভব।
  • রাজা + কুমার = রাজকুমার (শব্দ সংখ্যা হ্রাস)
  • সোনা + রুপা = সোনারুপা (ভাষার সাবলীলতা)
  • গাছ + তলা = গাছতলা (অর্থের স্পষ্টতা)
  • নীল + পদ্ম = নীলপদ্ম (ভাষার বৈচিত্র্য)
  • মা + বাবা = মা-বাবা (সংস্কৃতি ধারণ)

Leave a Reply