মেসোপটেমিয়া সভ্যতা: বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকের টাইগ্রিস (দজলা) ও ইউফ্রেটিস (ফোরাত) নদী দুটির মধ্যবর্তী অঞ্চলে মেসোপটেমিয়া সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। বর্তমানের ইরাক, সিরিয়ার উত্তরাংশ, তুরষ্কের উত্তরাংশ এবং ইরানের খুযেস্তান প্রদেশের অঞ্চলগুলো প্রাচীনকালে মেসোপটেমিয়ার অন্তর্গত ছিল বলে মনে করা হয়। নিচে এ সভ্যতা সম্পর্কে সংক্ষেপে তুলে ধরা হল:-
১. বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল – মেসোপটেমিয়ায়।
২. সুমেরীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল – মেসোপটেমিয়ায়।
৩. সুমেরীয় সভ্যতার প্রথম ব্যবহার শুরু হয় – চাকায়।
৪. মেসোপটেমিয়া সভ্যতার বেশিরভাগ এলাকা বর্তমানে অবস্থিত – ইরাকে।
৫. ইতিহাসের প্রথম লিখিত আইন প্রণেতা ব্যাবিলনের – হাম্বুরাবি।
৬. আসিরীয়রা প্রথম বৃত্তকে ভাগ করে – ৩৬০ ডিগ্রী কোণে।
৭. ক্যালডেরীয়রা প্রথম সপ্তাহকে বিভক্ত করে – ৭ দিনে।
৮. ক্যালডীয় সভ্যতায় প্রতিদিনকে বিভক্ত করা হয় – ১২ জোড়া ঘন্টায়।
৯. ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান অবস্থিত – ইরাকে।
১০. ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান গড়ে তুলেছিল – নেবুচাঁদ নেজার।
১১. পৃথিবীর প্রাচীনতম মানচিত্র পাওয়া যায় – ব্যাবিলনের উত্তরের গাথুর শহরের ধ্বংসাবশেষে।
১২. মেসোপটেমিয়ায় গড়ে ওঠা সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা – সুমেরীয় সভ্যতা।
১৩. সভ্যতায় সুমেরীয়দের অবদান ছিল – লিখন পদ্ধতিতে।
১৪. সুমেরীয়দের লিখন পদ্ধতির নাম – কিউনিফর্ম।
১৫. উন্নত সেচ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল – সুমেরীয় সভ্যতায়।
১৬. সভ্যতায় আসিরীয়দের অবদান – সমরবাদী, যুদ্ধবিদ্যা,অস্ত্র ও হাতিয়ার তৈরি।
১৭. ক্যালেডীয় সভ্যতার অপর নাম – নতুন ব্যাবিলনীয় সভ্যতা।
১৮. সভ্যতায় ক্যালেডীয়দের অবদান ছিল – ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান তৈরি। [সংকলিত]
মেসোপটেমিয়া সভ্যতা
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL