সাপ সম্পর্কে জনসাধারণের জন্য জরুরি তথ্য ও উপদেশ

ক) আপনাকে সাপে দংশন করলে কি করবেন?
ক.১। সাপে দংশন করলে প্রথমত ভয় পাবেন না। বেশিরভাগ সাপই অবিষধর হয়ে থাকে।
ক.২। সাপে দংশিত অঙ্গ; যেমন: হাত কিংবা পা বিশ্রামে রাখুন। পায়ে দংশন করলে না হেঁটে বসে পড়ুন। হাতে দংশন করলে হাত নাড়াচাড়া করবেন না। হাড় ভাঙলে যেভাবে কাঠ ব্যান্ডেজ দিয়ে স্প্লিন্ট (splint) করে ঐভাবে ব্যবস্থা নিন।
ক.৩। দংশিত অঙ্গে গিঁট দিবেন না।
ক.৪। সাথে সাথে নিকটস্থ হাসপাতাল কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ নিন; হাসপাতাল কিংবা ডাক্তারের নিকট যেতে মোটরসাইকেল কিংবা এ্যাম্বুলেন্সের সাহায্য নিন।
ক.৫। দংশিত স্থানে ছুটি কিংবা ব্লেড দিয়ে কাটবেন না, সুঁই ফুটাবেন না, কিংবা কোনো রকম প্রলেপ লাগাবেন না।
ক.৬। ওঝা কিংবা বৈদ্যো দিয়ে চিকিৎসা করে কিংবা ঝাড়-ফুঁক করে অযথা সময় নষ্ট করবেন না। যতদ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে আসুন।
খ) সাপের দংশন কিভাবে এড়ানো যায়?
খ.১। বাড়ির চারপাশ ভালো করে পরিষ্কার রাখুন। শোয়ার ঘরের সাথে খাবার সামগ্রী যেমন: ধান-চাল, ভাত, হাঁস-মুরগী, কবুতর, গরু-ছাগল না রাখা উত্তম।
খ.২। খাটের উপর মশারী ব্যবহার করে ঘুমাবেন, তবে ঘরের মেঝেতে ঘুমাবেন না। রাতের বেলায় মাচায় শোয়ার ব্যাপারেও বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন।
খ.৩। ঘাসের মধ্যে কিংবা ঝোপ-ঝাড়ের ভিতর খুব সাবধানে হাঁটুন ও লম্বা জুতো কিংবা বুট জুতো পড়ুন। রাতে বের হলে আলো ও লাঠিসহ বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন।
খ.৪। গর্তের মধ্যে হাত কিংবা পা দিবেন না। স্তূপিকৃত লাকড়ি অথবা খড় খুব সাবধানে নাড়াচাড়া করুন।
খ.৫। মাছ ধরার সময় চাই কিংবা জালের মধ্যে হাত দেয়ার আগে সাপ আছে কিনা দেখে নিন।
গ) অবিষধর সাপে দংশনের লক্ষণ:
অবিষধর সাপে দংশনের স্থানের ত্বক হালকা ফুলে যায়, সামান্য রক্তপাত হয়, ও ত্বকের রং পরিবর্তন হয়।
ঘ) বিষধর সাপে দংশনের লক্ষণ:
বিষধর সাপে দংশনের স্থানে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, এবং প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত ঘটে। একই সাথে শরীর অতিরিক্ত ঘামায়, শ্বাসকষ্ট হয়, মাথা ঘোরে, প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়, বমি বমি ভাব, এবং বমি হয়। [সংকলিত]
তথ্যসূত্র: লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
সাপ সম্পর্কে কিছু তথ্য
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL