হাইপোক্সেমিয়া | Hypoxemia
Hypo মানে কম বা নিম্নস্তর, এবং Hypoxemia বলতে রক্তের অক্সিজেন স্বল্পতাকে বোঝায়। হাইপোক্সেমিয়া রক্তের ক্রটিপূর্ণ অক্সিজেন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়ে থাকে। কারো হাইপোক্সেমিয়া হয়েছে কিনা, তা বুঝতে হলে আমাদের অবশ্যই এর লক্ষণ সম্পর্কে জানতে হবে। নিম্নে হাইপোক্সেমিয়ার লক্ষণসমূহ উল্লেখ করা হলো:
হাইপোক্সেমিয়ার লক্ষণ (symptoms of hypoxemia):
হাইপোক্সেমিয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে থাকতে পারে সায়ানেসিস, ডিজিটাল ক্লাবিং, হাইপোক্সিয়ার সাথে সম্পর্কিত কাশি এবং হেমোপটিসিস। মানব শরীরে তখনই মারাত্নক হাইপোক্সেমিয়া দেখা দেয়, যখন রক্তে অক্সিজেনের চাপ 60 mm Hg (8.0 k pa) এর কম হয়। অনেক সময় হাইপোক্সেমিয়া শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। হাইপোক্সেমিয়ার আরো কতগুলো লক্ষণ ও উপসর্গ রয়েছে, তা হলো:
(ক) হাইপোক্সেমিয়ার তীব্র লক্ষণ:
→ শ্বাসকষ্ট
→ দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস এবং
→ দ্রুত হৃদস্পন্দন।
(খ) অন্যান্য সংশ্লিষ্ট লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
→ শ্বাসজনিত সমস্যা (wheezing)
→ ঘাম (sweating)
→ কাশি (coughing)
(গ) গুরুতর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
→ যেকোনো বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি;
→ যোগাযোগের অক্ষমতা;
→ কোমা; এবং
→ মৃত্যু হতে পারে।
(ঘ) শিশু রোগীদের উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যেমন:
→ অলসতা
→ খিটখিটে ভাব
→ দুশ্চিন্তা
→ অমনোযোগীতা
→ ডায়াফ্রাম্যাটিক শ্বাস-প্রশ্বাস।
→ এপিগ্লোটাইটিস এবং শ্বাসনালী পরীক্ষায় আক্রান্ত শিশুরা মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে পারে এবং মুখ দিয়ে শ্বাস গ্রহণ করতে পারে।
হাইপোক্সেমিয়ার কারণ: হাইপোক্সেমিয়া হওয়ার কতগুলো কারণ রয়েছে, সে কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে।
→ হাইপোভন্টিলেশন।
→ বায়ুচলাচলে অমিল।
→ ডিফিউশন বৈকল্য। [ইশরাত জাহান মিম]
সহায়িকা: H. Al- Hasib, Dr.Md.Tanvir Islam, Fundamentals of Nursing(2019), Diploma in Nursing Science and Midwifery (1st year), Neuron Publication, Dhaka-1205, page: 228, 229.
Image edited from: my.clevelandclinic.org