হার্ট অ্যাটাক রোগীর নার্সিং ব্যবস্থাপনা

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ, হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয়, হার্ট অ্যাটাক কেন হয়, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট অ্যাটাক কিভাবে হয়, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ গুলো কি কি, হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার উপায়, হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ, হার্ট অ্যাটাক হলে কি করনীয়, heart attack symptoms, What to do in case of heart attack, Why do heart attacks happen? heart attack, How does a heart attack happen? What are the symptoms of a heart attack? How to avoid heart attack, Early symptoms of heart attack, What to do in case of heart attack,

হার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন একটি জরুরি অবস্থা। তাই রোগীর জীবন বাঁচাতে দ্রুত এবং সঠিক নার্সিং যত্ন প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট অ্যাটাক রোগীর নার্সিং ব্যবস্থাপনাগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

১. প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ: 
গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ পর্যবেক্ষণ: শ্বাসক্রিয়া (respiration), পালস, রক্তচাপ এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
ইসিজি (ECG) মনিটরিং: ইসিজি মাধ্যমে রোগীর হৃদস্পন্দন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
চেতনার অবস্থা: রোগীর চেতনা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

২. অক্সিজেন সরবরাহ:
অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেলে রোগীকে অক্সিজেন দিতে হবে (নাজাল ক্যানুলা বা ফেস মাস্ক ব্যবহার)।

৩. বেদনা ব্যবস্থাপনা:
রোগীর ব্যথা কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নাইট্রোগ্লিসারিন, মরফিন, ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। রোগীর আরাম নিশ্চিত করতে শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য উপযুক্ত পজিশনে রাখতে হবে।

৪. ড্রাগ থেরাপি:
অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্টস: রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে ড্রাগ (যেমন: অ্যাসপিরিন, হেপারিন) ব্যবহার।
থ্রম্বোলাইটিক থেরাপি: ব্লকেজ অপসারণের জন্য (যেমন: স্ট্রেপ্টোকিনেজ)।
বিটা-ব্লকারস: হার্টের কার্যকলাপ কমানোর জন্য (যেমন: মেটাপ্রোলল)।

৫. অবস্থান নির্ণয় করা:
রোগীকে আধশোয়া অবস্থায় (সেমি-ফাউলারের পজিশন) রাখা, যা রোগীকে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে এবং রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করবে।

৬. মনিটরিং এবং ডকুমেন্টেশন:
রোগীর রক্তচাপ, পালস, শ্বাসপ্রশ্বাস এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশন নিয়মিত পরীক্ষা করা। যে কোনো পরিবর্তন বা জটিলতায় দ্রুত রিপোর্ট করা।

৭. পুষ্টি ও তরল সরবরাহ:
চিকিৎসক নির্দেশিত ডায়েট অনুসরণ করা এবং পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন। রোগী যদি অসুস্থবোধ করেন, তবে তরল খাবার সরবরাহ করতে হবে।

৮. মানসিক সহায়তা:
রোগীকে মানসিকভাবে শান্ত ও নিরাপদ অনুভব করাতে চেষ্টা করানো। রোগীর মানসিক চাপ কমাতে পরিবারের সাথে কথা বলার সুযোগ করে দেয়া।

৯. পারিবারিক শিক্ষা :
রোগীর পরিবারের সদস্যদেরকে রোগীর অবস্থা ও চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতন করা এবং ভবিষ্যতের যত্নের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া।

সতর্কতা ও দ্রুত পদক্ষেপই হার্ট অ্যাটাকের রোগীর জীবন রক্ষা করতে সহায়ক হতে পারে। তাই সঠিক পর্যবেক্ষণ ও যত্ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। [ইশরাত জাহান মিম]


সহায়িকা: Sheikh Md. Zahirul Alam (Ph.D), Inspire-Fundamentals of Nursing, Diploma in Nursing Science Midwifery (1st year), Tamanna Publications, Page: 492, 493.


হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয়।


Image Source: wikipedia.org


Leave a Reply