হিট স্ট্রোক | Heat Stroke

স্ট্রোক বা ব্রেন অ্যাটাক বলতে আমরা বুঝি মস্তিষ্কে হঠাৎ করে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণের অবস্থা তৈরি হওয়া। যার ফলে প্রতিটি মস্তিষ্কের কোষগুলি অকেজো হয় বা মারাও যেতে পারে। তবে হিট স্ট্রোক (heat stroke) হলো অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ঘটে থাকা স্ট্রোক, যা শরীরের তাপমাত্রা ৪০° উপরে হলেই এ স্ট্রোক এর ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়।

a diagram of a brain, হেমোরেজিক স্ট্রোক, হেমোরেজিক স্ট্রোক কেন হয়, হেমোরেজিক স্ট্রোকের চিকিৎসা, হেমোরেজিক স্ট্রোক এর লক্ষণ, হেমোরেজিক সিস্ট কি, হেমোরেজিক সিস্ট এর চিকিৎসা, হেমোরেজিক স্ট্রোক, হেমোরেজিক শক, হেমোরেজিক, হেমোরেজিক জ্বর, হেমোরেজিক স্ট্রোক কেন হয়, হেমোরেজিক স্ট্রোকের চিকিৎসা, স্ট্রোক এর লক্ষণ কি, স্ট্রোক, স্ট্রোক এর লক্ষণ, স্ট্রোক কি, স্ট্রোকের লক্ষণ কি কি, স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ, স্ট্রোক করলে করণীয়, স্ট্রোক এর প্রাথমিক চিকিৎসা, hemorrhagic stroke, hemorrhagic stroke symptoms, hemorrhagic stroke treatment, hemorrhagic stroke causes, hemorrhagic stroke recovery, hemorrhagic stroke risk factors,

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে, যা জীবনহানিও ঘটাতে পারে। এ ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোক এর লক্ষণ এবং তার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জানা থাকলে নিজে সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি আমরা অন্যকেও সতর্ক করতে সক্ষম হবো। তাই নিম্নের লক্ষণসমূহ এবং প্রাথমিকভাবে কিছু সহজ ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

লক্ষণ:
১. তীব্র মাথা ব্যথা;
২. দ্রুত হৃদস্পন্দন;

৩. প্রচণ্ড তৃষ্ণা, পানিশূন্যতা;

৪. শ্বাসকষ্ট: দ্রুত ও ভারী শ্বাস-প্রশ্বাসও হিটস্ট্রোকের লক্ষণ;

৫. বমি বমি ভাব হওয়া: অতিরিক্ত গরমের ফলে মাথা গুরানোসহ বমিও হতে পারে;

৬. হাইপারভেন্টিলেশন;

৭. কথা জড়িয়ে যাওয়া;

৮. পেশিতে ব্যথা অনূভুত হওয়া;

৯. বিরক্তি, বিভ্রান্তি : হিট স্ট্রোক আগ মুহূর্তে খিটখিটে মেজাজের আচরণ করা; এবং

১০. ঘাম না হওয়া: শরীরে পানি শূন্যতার ফলে তীব্র গরমেও ঘাম হয়না।

প্রাথমিক পদক্ষেপ:
১। শীতল স্থানে স্থানান্তর : রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব ঠাণ্ডা পরিবেশে নিতে হবে;
২। শরীর ঠাণ্ডা করা : গলা, বগল ও কুঁচকিতে ঠাণ্ডা পানি বা বরফ দেওয়া। সম্ভব হলে ঠাণ্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখা সবচেয়ে কার্যকর;
৩। তাপ নিঃসরণে সহায়তা করতে শরীরে অতিরিক্ত কাপড় থাকলে তা সরানো;

৪। হাইড্রেশন ও ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স;
৫। IV ফ্লুইড : দ্রুত হাইড্রেশন ও ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখতে স্যালাইন দেওয়া জরুরি;
৫। ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা : শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়াম পর্যবেক্ষণ করা;

৬। শরীরের তাপমাত্রা লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে তাপমাত্রা ৩৯° সেলসিয়াসের নিচে থাকে;
৭। হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ – তীব্র তাপের কারণে হৃদস্পন্দন বাড়তে পারে, তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা;
৮। সজাগতা পর্যবেক্ষণ – রোগীর মানসিক অবস্থা, জ্ঞান ফিরে আসছে কিনা, খেয়াল করা;
৯। র‌্যাবডোমায়োলাইসিস পরীক্ষা : বেশি তাপে মাংসপেশি ভেঙে যেতে পারে, এ জন্য রোগীর প্রস্রাবের রঙ ও মাংসপেশির ব্যথা পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ; এবং
১০। কিডনি কার্যক্ষমতা পরীক্ষা : প্রস্রাবের পরিমাণ এবং অন্যান্য লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করা।

হিট স্ট্রোক এড়াতে প্রচুর পানি পান করুন, হালকা পোশাক পরুন এবং দুপুরে রোদে কাজ এড়িয়ে চলুন। তাহলে এ হিট স্ট্রোক বা (sun stroke) থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। [ইশরাত জাহান মিম]


সহায়িকা: H.Al-Hasib, Dr. Tanvir Islam, Fundamentals of Nursing (2019), Diploma in Nursing Science and Midwifery, Neuron Publication, Dhaka-1205, Page: 510.


হিট স্ট্রোকের কারণ ও প্রতিকার


Image Source: wikimedia.org


Leave a Reply