হৃদরোগ | Heart Disease

হৃদরোগের সাথে সচরাচর আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। আর এ রোগের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখা আমাদের অতি প্রয়োজন। তাই নিচে হৃদরোগ, এবং এর লক্ষণ ও পথ্য পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

যে কোনো বয়সে হৃদরোগ হতে পারে। চল্লিশ বছর বা এর পরে সচরাচর হৃদরোগ হতে দেখা যায়। রক্ত চলাচল অপ্রতুলতাই এই রোগের অন্যতম কারণ। হৃদরোগের মধ্যে করোনারি হার্ট ডিজিজ অন্যতম। করোনারি নামক ধমনি থেকে হৃৎপিন্ডে খাদ্য উপাদান ও অক্সিজেন সরবরাহ কারা হয়। এই ধমনির গায়ে চর্বি ও অন্যান্য স্নেহ পদার্থ জমে ধমনি সরু হয়ে যায়। এই অবস্থাকে প্লাক (plaque) বলে। প্লাক অবরোধের ফলে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ও অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত হয় এবং হৃৎপিন্ডের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বাধাগ্রস্ত হয়। করোনারি ধমনি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক হয়।

হৃদরোগের লক্ষণ: হৃদরোগ হওয়ার লক্ষণসমূহ নিম্নরূপ –
১. রক্তে স্নেহপদার্থের আধিক্য ঘটে।
২. অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে উঠা।
৩. বুকে ধড়ফড় করা।
৪. বুকে ব্যথা ও প্রচুর ঘাম হয়।

হৃদরোগের পথ্য পরিকল্পনা: হৃদরোগ হলে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শর্করা ও স্নেহের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মধু, ঘি, ডালডা বর্জন করতে হবে। তবে ভিটামিন ‘সি’, রসুন প্রভৃতি নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।
হৃদরোগীর এক দিনের পথ্য পরিকল্পনা: –

সকালের নাস্তা : আটার রুটি ২টি, ঘন ডাল আধা কাপ/ ডমের সাদা অংশ, সবজি, চা।
সকাল ১০ টায় : ননী তোলা দুধ, টোস্ট বিস্কুট/মুড়ি।
দুপুরে : নরম ভাত ১ কাপ, শাক ভাজি আধা কাপ, সবজি আধা কাপ, মাছ/ মাংস (কম মসলা ও তেলযুক্ত) ৫০গ্রাম, লেবু।
বিকেলে : চা (দুধ ছাড়া) , মুড়ি/ টোস্ট বিস্কুট / খই।
রাতে : ভাত ১ কাপ/ রুটি ২ টি, মুরগির মাংস ১ টুকরো, নিরামিষ ১কাপ, টক দই/ ছানা। [ইশরাত জাহান মিম]


সহায়িকা : সুলতানা, প্রফেসর রাফিকা, এবং আরা, গাজী হোসনে, গার্হস্থ বিজ্ঞান, কাজল ব্রাদার্স লি., পৃষ্ঠা ৩০।


হৃদরোগ কাকে বলে?


Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL


Leave a Reply