হ্যাংলা – শব্দের উদ্ভব ও বিকাশ
হ্যাংলা শব্দটির অর্থ হলো খেলো ধরনের বা লঘুচিত্ত বা হীনভাবে লোভ প্রকাশকারী বা অশোভনভাবে লোলুপদৃষ্টি। হ্যাংলা শব্দটি আঞ্চলিক ভাষা থেকে গৃহীত একটি শব্দ। জানা যায় যে, বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলের লোকজন একটি বিশেষ প্রাণিকে হেঙ্গল নামে ডেকে থাকে। হেঙ্গলের স্বভাব খুবই বিচিত্র ধরনের, এবং এ স্বভাবকেই হ্যাংলা বলা হয়। আর হেঙ্গল থেকেই হ্যাংলা ও হ্যাংলামি শব্দ এসেছে। আর জানা যায় যে, এ হেঙ্গল শব্দের আঞ্চলিক অর্থ হলো কুকুর। হ্যাংলামি শব্দটি দিয়ে কুকুরের স্বভাবের সাথে তুলনা করা হয়। সাধারণত যখন কোনো ব্যক্তির আচরণে কুকুরের মত স্বভাব দেখা যায়, তখন ঐ ব্যক্তিটিকে হ্যাংলা বলে। আবার, কারো কারো হ্যাংলামি বা হ্যাংলাপনা দেখলে, অনেকের মন খারাপ হয়, বিরক্ত হন এবং ঘেন্না করেন।
সুতরাং, মানুষের স্বভাব, রূপগুণ, দোষ, প্রভৃতি প্রকাশ করতে জীবজন্তুর সাথে তুলনা করা হয়। মানুষের খারাপ স্বভাব ও আচরণ প্রকাশ করতে হ্যাংলা শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। আবার, মানুষের ভালো স্বভাব ও গুণ প্রকাশ করতে সুন্দর ও নিরীহ জীবজন্তুর সাথেও তুলনা করা হয়। যেমন- কোকিলকণ্ঠী, হরিণীনয়না, প্রভৃতি। এসব শব্দ ব্যবহারে কোনো মানুষের ইজ্জত বাড়ে আবার কারো ইজ্জত কমে। তথাপি, মানুষের ব্যবহৃত এসব শব্দ বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ ও বিকশিত করেছে। [সংকলিত]
হ্যাংলা অর্থ কী?
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL