এইচএমপিভি (HMPV) ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা
HMPV (Human Metapneumovirus) এটি একটি পূর্বপরিচিত ভাইরাস। এটি ২০০১ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয় এবং এটি শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণের জন্য একটি পরিচিত ভাইরাস। এটি সাধারণত ঠান্ডা, ফ্লু, ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।
তবে, চীনে এবং জাপানে HMPV-এর সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব নতুন হতে পারে, অর্থাৎ হাসপাতালের ওপর এর প্রভাব সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে। নিম্নে HMPV ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনা করা হলে:
এইচএমপিভির (HMPV) উপসর্গ:
১. এইচএমপিভি বলতে গেলে একটি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ;
২. কাশি, জ্বর, গলা ব্যাথা, নাক বন্ধ; এবং
৩. শ্বাসকষ্ট।
এইচএমপিভির (HMPV) সংক্রমণ সাধারণত তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার সাথে সাথে এর লক্ষণ পরিবর্তন হতে পারে। HMPV ভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতা ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, এসব ফুসফুসে সংক্রমণজনিত সমস্যা বা কানে ইনফেকশনের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তবে, চীনা বিশেষজ্ঞদের মতে, HMPV সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা। এটি শীতকালে একটি মৌসুমি সংক্রমণ বলে তারা মনে করছেন। তবুও তারা সকলকে সতর্কবার্তা জানিয়েছেন, যাতে পরবর্তীতে করোনা ভাইরাসের মত HMPV ভাইরাসের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, নাও হতে পারে।
HMPV ভাইরাস ছড়ানোর মাধ্যম:
এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতোই ছড়ায়। যার মধ্যে রয়েছে-
১. কাশি এবং হাঁচি থেকে নিঃসরণ;
২. হাত মেলানো বা স্পর্শ করা;
৩. সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করা;
৪. মুখ, নাক বা চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ করা;
৫. সংক্রমিত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকা। এবং তার খাবার পানির গ্লাসে পানি পান করা। সংক্রমিত ব্যক্তির কোন কিছু না ব্যবহার করাই উত্তম।
HMPV ভাইরাসের প্রতিরোধ ও প্রতিকার:
চিকিৎসকদের মতে, করোনা মোকাবিলায় যে সব সতর্কতা নেয়া হয়েছিল, একই পদক্ষেপে এই ভাইরাসও প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১. মাস্ক ব্যবহার করা;
২. হাচি, কাশির ক্ষেত্রে নিজস্ব টিস্যু বা রুমাল ব্যবহার করা। এবং তা যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা;
৩. হেন্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করা;
৪. ২০ সেকেন্ড ধরে ভালোভাবে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া;
৫. অপরিষ্কার হাতে নাক-মুখ স্পর্শ না করা; এবং
৬. আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা।
এ সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মধ্যমে এইচএমপিভি (HMPV) থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব বলে চিকিৎসকরা মনে করেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি এবং সঠিক সচেতনতা ও চিকিৎসায় এর প্রভাব কমানো সম্ভব। তাই সকলের সচেতন থাকা জরুরি। [ইশরাত জাহান মিম] [সংকলিত]
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL
Image Source: Human Metapneumovirus, wikipedia.org