অক্ষরেখা, দ্রাঘিমারেখা, নিরক্ষরেখা ও মূল মধ্যরেখা

অক্ষরেখা (latitude): নিরক্ষরেখা (equator) থেকে উত্তর বা দক্ষিণে কোন স্থানের কৌণিক দূরত্বকে অক্ষরেখা (latitude) বলে। কৌণিক দূরত্ব বলা হয়, কারণ পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে অক্ষরেখার দূরত্ব পরিমাপ করা হয়। মূলত অক্ষরেখা হল কতগুলো কাল্পনিক রেখা (imaginary line)। এ রেখাগুলোকে সমাক্ষরেখাও (parallel line) বলা হয়ে থাকে। আবার অক্ষরেখার মান বা ডিগ্রিকে অক্ষাংশ বলে। যেমন- ৩০ ডিগ্রি, ৬০ ডিগ্রি, ৯০ ডিগ্রি প্রভৃতি অক্ষাংশ। অক্ষাংশকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেণ্ডে-এ বিভক্ত করা হয়।

দ্রাঘিমারেখা (longitude): মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্ব বা পশ্চিমে কোন স্থানের কৌণিক দূরত্বকে দ্রাঘিমারেখা (longitude) বলে। কৌণিক দূরত্ব বলা হয়, কারণ পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দ্রাঘিমারেখার দূরত্ব পরিমাপ করা হয়। দ্রাঘিমারেখা নিরক্ষরেখাকে লম্বভাবে ছেদ করেছে। এ রেখাগুলো দুই মেরুকে যুক্ত করে উত্তর-দক্ষিণে লম্বভাবে প্রসারিত রয়েছে। মূলত দ্রাঘিমারেখা হল কতগুলো কাল্পনিক রেখা (imaginary line)। আবার দ্রাঘিমারেখার মান বা ডিগ্রিকে দ্রাঘিমাংশ বলে। যেমন- ৩০ ডিগ্রি, ৬০ ডিগ্রি, ৯০ ডিগ্রি প্রভৃতি দ্রাঘিমাংশ। দ্রাঘিমাংশকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেণ্ডে-এ বিভক্ত করা হয়। 


নিরক্ষরেখা (equator): উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীর ঠিক মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে যে রেখা কল্পনা করা হয়েছে, তাকে নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা বলে। এ রেখাটি পৃথিবী পৃষ্ঠকে উত্তরে ও দক্ষিণে ঠিক সমান দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। নিরক্ষরেখার মান ০ ডিগ্রি ধরা হয়েছে। এ নিরক্ষরেখা থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের অক্ষরেখার মান বা ডিগ্রি নির্ণয় করা হয়।  

মূল মধ্যরেখা (prime meridian): আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের (UK) গ্রিনিচ শহরের রাজকীয় মান মন্দিরের উপর দিয়ে যে মধ্যরেখা কল্পনা করা হয়েছে, তাকে মূল মধ্যরেখা বলে। মূল মধ্যরেখাটি ১৮৮৪ অব্দে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। মূল মধ্যরেখার মান ০ ডিগ্রি ধরা হয়েছে। এ মূল মধ্যরেখা থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের দ্রাঘিমারেখার মান বা ডিগ্রি নির্ণয় করা হয়। [সংকলিত]


Latitude and longitude | Prime Meridian | Equator


8 Comments

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *