অ্যারিক বাইলুন্ডের সম্প্রসারণ তত্ত্ব
অ্যারিক বাইলুন্ড [Eric Bylund] বসতির অবস্থান ও সম্প্রসারণের ধারাবাহিকতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। তিনি এ ধারাবাহিকতা খুঁজতে গিয়ে ১৯৫৬ সালে একটি তত্ত্ব (theory) প্রদান করেন। তাঁর প্রদত্ত এ তত্ত্বটি সম্প্রসারণ তত্ত্ব হিসেবে পরিচিত। বাইলুন্ড এ তত্ত্বটি উপস্থাপন করতে সুইডেনের কেন্দ্রবর্তী ল্যাপল্যান্ড অঞ্চলকে নির্বাচন করেন। ১৮৬৭ সালের পূর্বে ল্যাপল্যান্ড অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী এলাকাকে তাঁর অনুশীলনের ভিত্তি ধরেন। এ ভিত্তির উপরে তিনি একটি পরিবেশবাদী মডেল উপস্থাপন করেন। ১৯৬০ সালে তিনি তাঁর তত্ত্বের আরও পরিমার্জিত রূপ উপস্থাপন করেন।

চিত্র: অ্যারিক বাইলুল্ডের সম্প্রসারণ তত্ত্ব।
অ্যারিক বাইলুন্ড তাঁর সম্প্রসারণ তত্ত্ব ৪টি মডেলের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। যেমন- মডেল অনুসারে মূল বসতিটিকে ঘিরে প্রথমে খুব কাছাকাছি নতুন নতুন বসতি গড়ে উঠবে। এরূপ ভাবে আশেপাশের জায়গা নিঃশেষ হলে পরের ধাপে আরও দূরবর্তী জায়গায় বসতি গড়ে উঠবে। অর্থাৎ প্রথম ধাপে কাছের জায়গায় এবং পরের ধাপে দূরবর্তী জায়গায় বসতির বিস্তৃতি ঘটবে। এখানে আরেকটি বিষয়ে বাইলুন্ড দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেষ্টা করেছেন। প্রথমত, একটি বসতি গড়ে উঠার প্রেক্ষাপট প্রতিকূল হলে এক পাশে এর প্রবৃদ্ধি ঘটবে। আর অনূকূল পরিবেশে বসতির প্রসার ঘটবে সমানভাবে চারদিকে। [সংকলিত] [মো: শাহীন আলম]
সহায়িকা: বাকী,আবদুল, ভুবনকোষ, ২০১৩, সুজনেষু প্রকাশনী, ঢাকা।
সম্প্রসারণ তত্ত্ব | Theory of Expansion
Follow Us on Our Youtube Channel: GEONATCUL