কেইম | Kame

ভূতত্ত্ববিদ্যায় কেইম [Kame] বলতে নিম্ন হিমবাহ অঞ্চলে অবস্থিত ছোট ঢিবি বা পাহাড়কে বুঝায়। অর্থাৎ হিমবাহের বরফ গলিত পানির স্রোত দ্বারা বাহিত বালি এবং নুড়িপাথর সঞ্চিত হয়ে হিমবাহের শেষ প্রান্তে ছোট ছোট ঢিবি বা পাহাড়ের সৃষ্টি হয়, যা ভূতত্ত্বে কেইম নামে পরিচিত।
ব্যুৎপত্তি: ‘Kame’ শব্দটি প্রাচীন স্কটিশ শব্দ “Comb” (kame,বা kaim) এর একটি রূপ, যার অর্থ “Crest” বা উঁচুস্থান বা শীর্ষস্থান। জানা যায় যে, ১৮৭৪ সালে থমাস জেমিসন ভূতাত্ত্বিক শব্দ হিসেবে ‘Kame’এর প্রবর্তন করেন। কেইমের আরও বিশদ বিবরণ নিচে দেওয়া হলো :
গঠন: হিমবাহের গলিত বরফের পানি স্রোত যখন প্রবাহপথের নিম্নদেশে এবং পাশে অনিয়মিত স্থানে পলি, বালি, নুড়ি, প্রভৃতি জমা করে, তখন কেইম তৈরি হয়।
অবস্থান: কেইম সাধারণত হিমবাহ অঞ্চলে হিমবাহ প্রবাহের শেষ প্রান্তে দেখতে পাওয়া যায়, প্রায়শই এমন এলাকায় যেখানে হিমবাহ স্থির থাকে বা গলে যাচ্ছে।
কেইম ব-দ্বীপ: কেইম আবার ব-দ্বীপের অংশ হিসেবেও তৈরি হতে পারে, যাকে কেইম ব-দ্বীপ বলে। এরূপ ব-দ্বীপ হিমবাহের মধ্য দিয়ে বা তার চারপাশে প্রবাহিত গলিত পানির স্রোত দ্বারা গঠিত এবং একটি প্রগমীয় হ্রদে পলি জমা করে। [মো. শাহীন আলম]