কেইস স্টাডি | Case Study

কেইস স্টাডি [Case Study] হলো গুণবাচক গবেষণার ক্ষেত্রে একেবারে প্রচলিত একটি পদ্ধতি। সাধারণত কোনো ব্যক্তি, পরিবার, গোষ্ঠী, ঘটনা, ও সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানকে একক ধরে পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা করাকে কেইস স্টাডি বলা হয়। এ ধরনের স্টাডির মাধ্যমে বিস্তারিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়, যা গবেষণার জন্য কিংবা বাস্তব জগতের প্রেক্ষাপটে একটি জটিল বিষয়ের গভীর ধারণা পেতে ব্যবহার করা হয়।

এখানে, একটি কেইস স্টাডির আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

গভীর বিশ্লেষণ [In-Depth Analysis]: কেইস স্টাডির মূল লক্ষ্য হলো কোনো একটি ঘটনা বা বিষয়কে পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং বহুমুখীভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করা।

বাস্তবকে নিয়ে আলোকপাত [Real-World Focus]: এ ধরনের স্টাডিতে বিমূর্ত ধারণা কিংবা কাল্পনিক দৃশ্যপটের পরিবর্তে বাস্তব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

গুণগত এবং পরিমাণগত পদ্ধতি [Qualitative and Quantitative Methods]: এ ধরেনর স্টাডিতে প্রায় সময় সাক্ষাৎকার, পর্যবেক্ষণ এবং নথি বিশ্লেষণের মতো গুণগত গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে পরিমাণগত তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে।

কেইস স্টাডির বিভিন্ন শাখা: সাধারণত এ ধরনের সমীক্ষা পদ্ধতি সাধারণত সামাজিক বিজ্ঞান, শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসায় ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে, প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

কেইস স্টাডির উদ্দেশ্য: নিম্নে উল্লেখিত বিভিন্ন উদ্দেশ্যে কেইস স্টাডি ব্যবহার করা হয়। যেমন –

১। বর্ণনাকরণ: একটি নির্দিষ্ট ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করতে কেইস স্টাডি ব্যবহার করা হয়।

২। ব্যাখ্যাকরণ: নির্দিষ্ট ঘটনা “কিভাবে” এবং “কেন” ঘটলো, তা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে বুঝা এ ধরনের স্টাডির অন্যতম উদ্দেশ্য।

৩। অনুসন্ধান: যে কোনো জটিল বিষয় গভীরভাবে তদন্ত করতে কেইস স্টাডি ব্যবহার করা হয়।

৪। মূল্যায়ন: হস্তক্ষেপ বা কৌশলের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করাও এ ধরনের সমীক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য।

কেইস স্টাডির প্রকারভেদ: উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে কেইস স্টাডির নিম্নরূপ বিভিন্ন প্রকার দেখা যায়। যেমন-

১। বর্ণনামূলক: কেইস স্টাডি যে কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার স্পষ্ট বর্ণনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

২। ব্যাখ্যামূলক: একটি ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ বা প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করার লক্ষ্যে কেইস স্টাডি করা হয়।

৩। অন্তর্নিহিত: যখন কেইসটি নিজেই অন্তর্নিহিত আগ্রহের বিষয়, তখন স্টাডির প্রয়োজন হয়।

৪। যান্ত্রিক: যখন কেইসটি একটি বৃহত্তর বিষয় বা তত্ত্বের উপর আলোকপাত করার জন্য ব্যবহার করা হয়, তখন যান্ত্রিক (instrumental) স্টাডির প্রয়োজন হয়।

কেইস স্টাডি ব্যবহারের সুবিধা:

ক) প্রাসঙ্গিক বোধগম্যতা: কেইস স্টাডি যে কোনো ঘটনা বা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে এবং কেনো ঘটে তা বুঝতে সাহায্য করে।

খ) গভীর বিশ্লেষণ: কেইস স্টাডি গবেষকদের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে গভীরভাবে অনুসন্ধান করার সুযোগ দেয় এবং যে কোনো ঘটনা বা পরিস্থিতির সূক্ষ্ম এবং বিস্তারিত উন্মোচন করা যায়।

গ) ব্যবহারিক প্রয়োগ: কেইস স্টাডি যে কোনো তাত্ত্বিক ধারণাগুলো চিত্রিত করতে এবং বাস্তবে কীভাবে কাজ করে, তা প্রদর্শন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। [মো. শাহীন আলম]


What is a Case Study and Example?


Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL


Leave a Reply