কেন্দ্র স্থান তত্ত্ব | Central Place Theory

a black and white drawing of a hexagon pattern, কেন্দ্র স্থান তত্ত্ব, Central Place Theory, Christaller

সাধারণত একটি শহর তার নিজ বাসিন্দাদের জন্য বিভিন্ন সেবা (service) প্রদান করে থাকে। এছাড়াও শহরটি তার চারপাশের অঞ্চলে সেবা প্রদান করে। এরূপ ভাবে শহর তার চারপাশের এলাকার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত থাকে। অর্থাৎ শহর বা নগর কেন্দ্র স্থানে অবস্থান করে তার চারপাশের পশ্চাত ভূমিকে বিভিন্ন সেবা প্রদান করে থাকে।

১৯৩৩ সালে জার্মান ভূগোলবিদ ওয়াল্টার খ্রিস্টলার কেন্দ্র স্থান (central place) পদটি ব্যবহার করেন; এবং তিনি কেন্দ্র স্থানের পারিসরিক বিন্যাস সম্পর্কিত একটি তত্ত্ব উপস্থাপন করেন, যা “কেন্দ্র স্থান তত্ত্ব” নামে সুপরিচিত। এ তত্ত্বটির মূল কথা হলো –

বড় বড় বসতিগুলো (এগুলো পৌর বসতি এবং বর্ধিষ্ণু গ্রাম হতে পারে) পরস্পর অনেক বেশি দূরে দূরে অবস্থান করবে এবং এসব বসতিগুলোকে ঘিরে তুলনামূলক কাছাকাছি একাধিক (তাত্ত্বিকভাবে ৬টি) বসতি অবস্থান করবে। তবে এসব বসতির বিস্তৃতির ক্ষেত্রে একটি পারিসরিক বিন্যাস থাকবে। ক্রিস্টলারের মতে, যা হবে ষড়ভুজাকৃতি।

ষড়ভুজাকৃতির এসব বসতির আকার ও আয়তন ভিন্ন ভিন্ন হবে। এক্ষেত্রে, ‘রেঞ্জ অব গুড়স’ এবং ‘থ্রেশোল্ড পপুলেশন’ চিন্তার সার্বিক গুণাবলির উপস্থিতি থাকবে।

সমালোচনা: ক্রিস্টলার তার তত্ত্বে যে ষড়ভুজাকৃতির বসতির কথা উল্লেখ করেছেন, প্রকৃতপক্ষে বসতি কখনই এ ধরনের আকার ধরে সব সময় সর্বত্র গড়ে উঠতে দেখা যায় না। প্রয়োজনের তাগিদে উপযুক্ত সুযোগ সুবিধার উপর ভিত্তি করে যে কোনো বসতি যে কোনো আকারে গড়ে উঠতে পারে। [মো. শাহীন আলম]


কেন্দ্র স্থান বলতে কি বুঝায়?


ওয়েগনারের মহাদেশ সঞ্চালন তত্ত্ব


Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL


Leave a Reply