চাহিদা পূর্বানুমানের অনিশ্চয়তাসমূহ
চাহিদার পূর্বানুমান বলতে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভবিষ্যৎ চাহিদার অনুমানকে বুঝায়। চাহিদার পূর্বানুমানের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের অনিশ্চয়তা ও ভুল জড়িত থাকে। এ ধরনের অনিশ্চয়তা সাধারণত তিন ধরনের উৎস থেকে আবির্ভূত হয়। যেমন-
১। অতীত ও বর্তমান বাজার সম্পর্কিত তথ্য;
২। পূর্বানুমান পদ্ধতি; এবং
৩। পরিবেশগত পরিবর্তন। নিম্নে এ উৎসসূমহ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
১। অতীত ও বর্তমান বাজার সম্পর্কিত তথ্য: অতীত ও বর্তমান বাজার সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের উপর চাহিদার পূর্বানুমানের সঠিকতা নির্ভর করে। তাই অতীত ও বর্তমান বাজার সম্পর্কিত তথ্য যত সঠিক ও নির্ভুলভাবে সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হবে, চাহিদার পূর্বানুমান তত নিখুঁত হবে। অতীত এবং বর্তমান বাজার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে উপাত্ত সম্পর্কিত কতিপয় অপর্যাপ্ততা পরিলক্ষিত হয়। যেমন – (ক) প্রমিতকরণ অভাব; (খ) স্বল্প পর্যবেক্ষণ; এবং (গ) অস্বাভাবিক উপাদানসমূহের প্রভাব।
২। পূর্বানুমান পদ্ধতি: চাহিদার পূর্বানুমান পদ্ধতি অনেক ধরনের হয়ে থাকে। একেক ক্ষেত্রে একেক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। তাই সঠিক পদ্ধতি নির্বাচন হলো চাহিদার পূর্বানুমানের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা। কোনো কারণে ভুল পদ্ধতি নির্বাচন করা হলে চাহিদার পূর্বানুমান সঠিক ও কার্যকরী হবে না। কারা চাহিদার পূর্বানুমান করবে, তাদের দক্ষতা ও অদক্ষতা হলো চাহিদার পূর্বানুমানের অন্যতম অনিশ্চয়তা। বিভিন্ন পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের ধারণা করা হয়, যার উপর নির্ভর করে এ পদ্ধতির সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়।
৩। পরিবেশগত পরিবর্তন: ব্যবসায়ের কার্যাবলি যে পরিবেশের মধ্যে সম্পাদিত হয়, তা বিভিন্ন ধরনের অনিশ্চয়তার সাথে জড়িত। যেমন- প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, সরকারের নীতি পরিবর্তন, কাঁচামালের নতুন উৎসের সন্ধান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রভৃতি বিষয় একটি প্রকল্পে পণ্যের চাহিদার পূর্বানুমানকে নির্ভুল বলে প্রমাণিত করতে পারে।
সুতরাং, এ সকল অনিশ্চয়তাসমূহের সাথে সমন্বয় করে যে কোনো চাহিদার পূর্বানুমান করা সম্ভব হয়। [শারমিন জাহান সায়মা]
সহায়ক গ্রন্থ: আলী, মোঃ সাহেব, জুলাই-২০১৯, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, পৃষ্ঠা ১০৬।
চাহিদা পূর্বানুমানের অনিশ্চয়তা কি কি?
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL