নড়াইলের স্থাপত্যিক ঐতিহ্য: গোবিন্দদেবের জোড়বাংলা মন্দির

নড়াইলের স্থাপত্যিক ঐতিহ্য: গোবিন্দদেবের জোড়বাংলা মন্দির

নড়াইলের স্থাপত্যিক ঐতিহ্য: গোবিন্দদেবের জোড়বাংলা মন্দির

আয়তাকার পরিকল্পনায় নির্মিত মন্দিরটির দৈর্ঘ্য ৯ মিটার ও প্রস্থ ৮.৫ মিটার। মন্দিরটি ভূমি থেকে প্রায় ১ মিটার উঁচু বেদীর উপরে অবস্থিত। এই মন্দির নির্মাণে পাতলা ইট ও চুন-চুরকি ব্যবহার করা হয়েছে। দো-চালাবিশিষ্ট জোড়া ঘরের এই স্থাপনায় দুইটি কক্ষ রয়েছে। মন্দিরের সামনে রয়েছে ছাদহীন একটি বারান্দা। সামনের বারান্দা থেকে মন্দিরের অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য তিনটি প্রবেশপথ দেখা যায়। গোথিক খিলানের এই প্রবেশপথগুলোতে বহু ভাজের নকশাসহ পোড়ামাটির ফলকে নানা ধরনের ফুল, লতাপাতা ও প্রাণীর চিত্র অঙ্কিত রয়েছে।

মন্দিরের পিছনের কক্ষটি হলো গর্ভগৃহ। সামনের কক্ষ থেকে এই গর্ভগৃহে প্রবেশের জন্য একটি প্রবেশপথ রয়েছে। এ প্রবেশপথটি দেখতে সামনের প্রবেশপথগুলোর মতই। গর্ভগৃহের উত্তর দেয়ালের মাঝামাঝি একটি মূর্তি রাখার প্রকোষ্ঠ ও বেদী রয়েছে। প্রকোষ্ঠটির দুই পাশে একটি করে কুলঙ্গি দেখা যায়। গর্ভগৃহের পূর্ব দেয়ালে আরও একটি প্রবেশপথ রয়েছে। মন্দিরের সামনের ও অভ্যন্তরের দেয়াল জুড়ে বহু লতা-পাতা, ফুল ও জীবজন্তুর অলংকরণযুক্ত পোড়ামাটির ফলক দেখা যায়। এছাড়া মন্দিরটির দো-চালার উপরে রয়েছে অলংকৃত চূড়া।

নড়াইল জেলার এ মন্দিরটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি। যা বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভূক্ত ও তত্ত্বাবধানে রয়েছে। [মো. শাহীন আলম]



নড়াইলের স্থাপত্যিক ঐতিহ্য


Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL


Leave a Reply