বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি-বিজড়িত টেগর লজ | কুষ্টিয়া
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত ‘টেগর লজ’ কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত। কুষ্টিয়া পৌরসভার মিল পাড়াস্থ পূর্ব-পশ্চিমগামী পাকা সড়কের সাথে লাগোয়া দক্ষিণ পাশে দ্বিতলবিশিষ্ট এ টেগর লজটি দেখা যায়। মধুমতি নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত টেগর লজটির ভূ-স্থানাঙ্ক (geo-coordinate) হল 23°54’05.7″N 89°08’46.2″E ( 23.901586, 89.146173)।
টেগর লজ প্রায় আয়তাকার ভূমি পরিকল্পনায় নির্মিত একটি দ্বিতল স্থাপনা। লাল বর্ণের এ স্থাপনাটির দৈর্ঘ্য ১৩.৪১ মিটার এবং প্রস্থ ১০ মিটার। এ স্থাপনাটির নির্মাণ কাজে ইট, বালি, চুন এবং কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। স্থাপনাটির দ্বিতীয় তলা ও নিচ তলার জানালাগুলো কাঠের সাটারবিশিষ্ট (খড়খড়ি)। অধিকাংশ দরজা ও জানালায় অর্ধবৃত্তাকার খিলান রয়েছে। স্থাপনাটির ছাদে কাঠের বর্গা ব্যবহার করা হয়েছে। ছাদের চারদিকে বেষ্টিত অলংকৃত প্রাচীর রয়েছে। উপর ও নিচ তলার ছাদ বরাবর নকশাকৃত কার্ণিশ রয়েছে।
১৮শ – ১৯শ শতাব্দীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর অন্যতম জমিদার ছিলেন। ১৮০৭ সালে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর জমিদারি ক্রয়ের সুবাদে কুষ্টিয়ার শিলাইদহের অনেক জমি এবং স্থাপনার মালিক হয়েছিলেন। ১৮৮৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর পৈতৃক এ জমিদারি দেখাশুনার ভার গ্রহণ করে শিলাইদহে আগমন করেন। রবীন্দ্রনাথ জমিদারি দেখাশুনার কারণে বহুদিন শিলাইদহে বসবাস করতেন। জানা যায়, ঐ সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কুষ্টিয়ার ‘টেগর লজ’ নামক সুরম্য দ্বিতল স্থাপনাটি নির্মাণ করেন। ১২ অক্টোবর ২০১৭ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেট অনুসারে কুষ্টিয়ার টেগর লজ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি, যা বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভূক্ত ও তত্ত্বাবধানে রয়েছে। [মো. শাহীন আলম]
কুষ্টিয়া বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি-বিজড়িত টেগর লজ
Follow Us on Our YouTube channel: GEONATCUL